Mamata Banerjee: ‘SIR-র নামে বিজেপি সরকার এনআরসি করতে চাইছে,কোন তথ্য দেবেন না’মেয়ো রোড থেকে গর্জে উঠলেন মমতা

72

ডিজিটাল ডেস্ক ২৮শে অগাস্টঃ বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় দেশ। বিহারে ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের এই কাজের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখছেন বিরোধীরা। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এনিয়ে জোরাল প্রতিবাদ শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ, এভাবে আসল ভোটারের নাম বাদ দিয়ে ভুয়ো ভোটারদের ঢোকানো হচ্ছে তালিকায়। এসআইআর নিয়ে জনতার বারবার সতর্ক করেছেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করতে এলে তথ্য না দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের সভা থেকে মমতার বক্তব্য,“সারা ভারত থেকে ৫০০ টা দল নিয়ে এসেছে বিজেপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছে কার কার নাম বাদ দেওয়া যায়। কেউ সার্ভে করতে এলে,কখনও নিজের তথ্য দেবেন না(Mamata Banerjee)।”

অন্যদিকে,তিনি বলেন বাম শাসিত কেরলে পড়ানো হচ্ছে নেতাজি ইংরেজদের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন এই দাবি তুলে,তাদের রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বেঁধেন নির্বাচন কমিশনকেও। বলেন, “ইলেকশন কমিশনের চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু বড়রা যদি ললিপপ খায় তাহলে মানায় না।”

২১ জুলাই মঞ্চ থেকে নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন। ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাদিবসে সেই সুর আরও চড়ালেন। বিহারে এসআইআরের পর বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন হবে বলে জল্পনা। তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন, এসআইআরের নামে বিজেপি সরকার এনআরসি করতে চাইছে। মঞ্চ থেকে বললেন, “এনআরসি করে ভোটার নাম কাড়ার চেষ্টা। জীবন থাকতে ভোটাধিকার কাড়তে দেব না।” আরও অভিযোগ তোলেন, বিজেপিকে ডিএম, বিডিওদের ভয় দেখাছে। ললিপপ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা ললিপপ বাচ্চাদের দিই। ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের ললিপপ দিই না। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রধান করি।

এরপরই ভিন রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের হেনস্তার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। বলেন, “আপনারা মানুষের অধিকার কেড়ে নেন। ক্ষমতা বিসর্জন দেন। বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে গরীব মানুষগুলোর উপর অত্যাচার করেন। গরীব মানুষ আমার হৃদয়, তাঁদের ভালোবাসি। আমি জাত-পাত মানি না।”