ARUNACHAL PRADESH : অরুণাচলের আনজাওয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। ডাম্পার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অসমের ২১ শ্রমিক। রাস্তা থেকে ১০০০ ফুট নীচে গড়িয়ে পড়ে ডাম্পার। এপর্যন্ত শনাক্ত করা হয়েছে ১৯ জনকে।
২২ জন শ্রমিক নিয়ে কনস্ট্রাকশন সাইটে যাচ্ছিল ডাম্পার। ভারত-চিন সীমান্তের আনজাও জেলার চাগলাগামে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় ডাম্পারটি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২১ জন শ্রমিক। বরাত জোরে বেঁচে যান একজন।
নিহতরা সবাই অসমের তিনসুকিয়ায় গেলাপুখুরি চা বাগানের। বুধবার রাতে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর সঙ্গে-সঙ্গেই ছুটে যায় পুলিশ। ২১ জনেরই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এরমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে ১৯ জনকে। যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন…
বুদ্ধেশ্বর দীপ, রাহুল কর্মকার, সমীর দীপ, জুন কর্মকার
পঙ্কজ মানকি, অজয় মানকি, বিজয় কুমার, অভয় ভূমিজ
রোহিত মানকি, বীরেন্দ্র কুমার, আগর তাঁতি, ধীরেন চেতিয়া
রজনী নাগ, দীপ গোয়ালা, রামশাবক সোনার, সনাতন নাগ
সঞ্জয় কুমার, করণ কুমার এবং জোনাস মুণ্ডা
৮ ডিসেম্বরই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় কেউ জানতেই পারেনি। বেঁচে যাওয়া সেই শ্রমিকই খবর দেন স্থানীয়দের। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত বীরেন্দ্র কুমারের স্ত্রী।
শ্রমিক মৃত্যুর এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অরুণাচল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে অসম সরকার। সম্ভাব্য সব সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আহতদের চিকিৎসার দায়িত্বও নেবে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, শুধু তিনসুকিয়াই নয়, ডিব্রুগড়ের চাবুয়া এবং অন্যান্য জায়গা থেকেও গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। সবমিলিয়ে ৩৬ জন শ্রমিক গিয়েছিলেন বলে খবর। তবে এরা সবাই একসঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন কিনা এটা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউই।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গেলাপুখুরিতে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে সহায়-সম্বলহীন নিহত প্রতিটি শ্রমিক পরিবার।