ডিজিটাল ডেস্ক ২২শে অগাস্টঃ বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে পথে আশাকর্মীরা। রাসবিহারী মোড়ের কাছে তাঁদের মিছিল আটকায় পুলিশ। তার ফলে অবরুদ্ধ রাসবিহারী মোড়। ভোগান্তির শিকার যাতায়াতকারীরা(Aasha Workers)।
শুক্রবার ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান ছিল আশাকর্মীদের। কয়েকশো আশাকর্মী মিছিলে অংশ নেন। আশাকর্মীদের দাবি, তাঁদের সরকারি কর্মীর মতো সম্মান দিতে হবে। এছাড়া বেতন বৃদ্ধি, কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার স্বার্থে মেডিক্লেম,পিএফের মতো সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা, মাতৃত্বকালীন ছুটি চালুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আশাকর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলের ফলে হাজরা থেকে রাসবিহারীর রাস্তায় বন্ধ যানচলাচল। একে তো বৃষ্টি। তার ফলে অন্য়ান্য দিনের তুলনায় গাড়ির গতি মন্থর। আবার মিছিলের ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাতায়াতকারীরা। এদিকে, মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তাই সতর্ক প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাস্তায় ব্য়ারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী।
এর আগেও একাধিকবার আশা কর্মীরা অভিযোগ করে সরব হয়েছিলেন ,তাঁরা বঞ্চনার শিকার। অবিলম্বে তাঁদের পেনশন এবং পিএফ চালু করতে হবে। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার নাম করে দুর্নীতি করছে শাসক দল অথচ সেই ঘরের তালিকার ভেরিফিকেশন করতে পাঠানো হচ্ছে আশা কর্মীদের। রাজ্য জুড়ে হামলার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। শাসক দলের দুর্নীতির খেসারত তাঁরা কেন দেবেন? এই প্রশ্নও তোলে এদিন আশা কর্মীরা। তাঁদের আরও দাবি, আশা কর্মীদের সরকারি কর্মীর মর্যাদা দিতে হবে এবং কোনওভাবেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করানো যাবেনা।
অতীতে এক আশা কর্মী বিক্ষোভ চলাকালীন বলেন,‘আমাদের কাজ হল মা ও শিশুদের যত্ন নেওয়া। কিন্তু এখন মাধ্যমিক পরীক্ষার নিরাপত্তার দায়িত্বও আমাদের দেওয়া হচ্ছে। এরসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি কাজের সমীক্ষাও করতে হচ্ছে আমাদের। অথচ পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না।’ আগেও অন্য একজন আশা কর্মী বলেন, এই বাজারে ওই সামান্য ক’টা টাকায় কোনওভাবে সংসার চলছেনা। প্রসঙ্গত,এর আগেও স্বাস্থ্য ভবনের কাছেই অবস্থানে বসেছিলেন আশাকর্মীরা । সেই আন্দোলনে মাঝরাতে পুলিশ তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তুলে ধর্মতলা, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিল।