Abhishek Banerjee: ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে উধাও কলেজ নির্বাচনের প্রসঙ্গ,অভিষেক বানে বিদ্ধ বিজেপি !

43

ডিজিটাল ডেস্ক ২৮শে অগাস্টঃ কলেজ নির্বাচন কবে? মনে করা হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে হয়তো কিছুটা হলেও ইঙ্গিত মিলবে। কিন্তু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে সে প্রসঙ্গে একটিও উচ্চবাক্য শোনা যায়নি। বরং নেত্রীর মুখে শোনা গেল নিজের ছাত্রজীবনে কলেজ নির্বাচনের প্রসঙ্গ। সেদিন তিনি কীভাবে দুই ছাত্র পরিষদের সদস্যকে রক্ষা করেছিলেন, কীভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা যথেষ্টই রোমহর্ষক। অভিষেক আরও বলেন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে পরে লড়বে, যুবদের সঙ্গে লড়াই করো আগে, ১০-০ গোলে হারবে। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ অভিষেকের(Abhishek Banerjee)।

১ বছর হয়ে গেল অপরাজিতা বিল পাশ হয়নি। রাজ্যপাল অপরাজিতা বিল আটকে রেখেছেন। এক বছর পেরিয়ে আরজি কর কাণ্ড প্রসঙ্গে ফের সিবিআই-কে তোপ অভিষেকের। গত বছর ছাত্র সমাবেশে আরজি কর ঘটনাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। আজ এক বছর পেরল। যারা দোষীর শাস্তিতে রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন, তাঁদের সম্মান জানাই। কিন্তু যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করেছিল, সেটা মোদীর সিবিআই এক বছরেও করতে পারেনি। আমাদের সরকার, মন্ত্রিসভা, বিধানসভায় পাশ করিয়ে অপরাজিতা বিল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিল। এতদিন হয়ে গিয়েছে, সেই বিল বিজেপি, রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর পরই অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এখন কেন কংগ্রেস, সিপিএম এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছে না? কেন রাস্তায় নামছে না?

যারা SIR করে আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবেন না? বাংলায় ছাব্বিশ সালে যোগ্য জবাব দেবে। সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে মৌলিক অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আগে মানুষ সরকার বেছে নিত, এখন সরকার ভোটার বেছে নিচ্ছে। দিল্লিতে দিয়ে লড়াই করেছি, দিল্লির কৃষি ভবন থেকে আমাদের মহিলা সাংসদ, এসসি, এসটি জনজাতি উপজাতির প্রতিনিধিদের টেনে হিঁচড়ে দিল্লি পুলিশ বার করেছিল।

আমরা হয়তো দিল্লি থেকে টাকা আনতে পারিনি। কিন্তু আমাদের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের বকেয়া পাওনা টাকা মিটিয়েছেন। আমরা যদি এই লড়াই করতে পারি, তাহলে ১০ কোটি বঙ্গবাসী, যাদের বাংলাদেশি বলেছে ওরা, তাদের হয়েও লড়াইয়ে নামব। যারা বাংলাকে অপমানিত করে, বলে বাংলা বলে ভাষা নেই, তাদের জবাব দেব! রেজাল্ট বেরনোর পরও ভর্তি প্রক্রিয়া দেরি হওয়ার জন্য কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারব্যবস্থার একাংশ বাংলার ছাত্র যুব সমাজের জীবনে অন্ধকার নামাতে চেয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসি। যেদিন নির্দেশ পেয়েছি, ১ ঘণ্টার মধ্যে সরকার প্রক্রিয়া শুরু করে।

তৃণমূলের ২৮ জন সাংসদ ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন, অমিত শাহকে সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে বিল ইন্ট্রোডিউস পর্যন্ত করাতে দেয়নি। অমিত শাহ পিছনের সারিতে গিয়ে বিল সম্পর্কে বলেছিলেন। এটাই তৃণমূলের ক্ষমতা। এই বিল তারা পাশ করতে পারবে না। ধন্যবাদ আপনাদের, আপনারা ২৯টা আসন দিয়েছেন। যদি ৪০ টা আসন দিতেন, তাহলে অমিত শাহ শেষ আসনে মুখ লুকিয়ে থাকতেন। যে কোন বিল আনলে, সরকারের জবাবদিহিতা থাকা উচিত। নোটবন্দির সময়ে কোনও জবাব দিয়েছে? কাল টাকা ধ্বংস করেছে? এত লোক লাইনে দাঁড়িয়ে মেরেছে, জবাব কে দেবে? কৃষি বিল এনে, ৭১৬ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। জবাব কে দেবেন? NRC-র ভয় দেখিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছিল… সরকারের তরফ থেকে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে প্রত্যেক বুথে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলা কী, বাস্তবায়িত করেছি।