ডিজিটাল ডেস্ক,৪ জুন : অপারেশান সিন্দুর সম্পর্কে ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলগুলি বিভিন্ন দেশে গিয়েছিল। বিদেশ সফরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মাঝরাতে শহরে ফিরেই তিনি জানিয়ে দেন সাংবাদিকদের যে একদিনের ব্যবধানে দল আমায় পাঠিয়েছিল। মোট ৫টি দেশে গিয়েছিল আমাদের দলটি। তিনি আরও জানান যে আমরা, বিশ্বমঞ্চে আমাদের দেশে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আমাদের অবস্থান পষ্ট করেছি। কথা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে,পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে পেরেছি (Abhishek Banerjee News)।
১৫ দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে বিমানবন্দরে নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বুধবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের ডাকা সর্বদল বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে জানান অভিষেক। ইতিমধ্যেই তা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বলে খবর। এদিন অভিষেক জানান, পূর্ব নির্ধারিত বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। তাছাড়া আগামী ১৯ তারিখ কালীগঞ্জে উপনির্বাচন। সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু বৈঠকও আছে। সেই কারণেই এই মুহূর্তে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না তিনি। তবে সফরকালের উপলব্ধি চিঠিতে বিদেশমন্ত্রকে জানাবেন অভিষেক। অভিষেক যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন তাঁরা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালোয়েশিয়া সফর করেছে। সেইসব দেশে ঠিক কী কী আলোচনা হয়েছে বিস্তারিত ভাবে তা জানতেই বুধবার বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে। অভিষেক সেই বৈঠকে না থাকার কথা ইতিমধ্যে বিদেশমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, এই বিদেশ সফরের কর্মসূচি নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কী মতামত সেটা লিখিতভাবে স্পষ্ট করবেন কেন্দ্রকে।
কেন্দ্রের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে সাতটি ভিন্ন দল বিভিন্ন দেশে সফর করেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এই সফরের পর সংসদে বিশেষ অধিবেশন চেয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যদিও বিশেষ অধিবেশন আদৌ হবে কিনা, সে ব্যাপারে এখনও কিছু পরিষ্কার নয়। তবে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিনিধি দলগুলির বৈঠক থেকে কী নির্যাস উঠে আসে, সেটাও দেখার বিষয় হবে বলে মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।