Abhishek Banerjee On 21st July : একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের! দিল্লি পর্যন্ত আন্দোলনের হুঁশিয়ারি!
ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ জুলাই : ১৯ জুলাই বঙ্গসফরে এসে একবারের জন্যও ‘জয় শ্রী রাম’ বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বরং সভা শুরু করেছিলেন কালী ও দুর্গার স্মরণ করে। তা নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক (Abhishek Banerjee On 21st July)।
একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে সেই ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, “আগে বলত জয় শ্রী রাম, এখন বলছে জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী। ছাব্বিশের (২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন) পর ওদের দিয়ে ‘জয় বাংলা’ বলিয়েই ছাড়ব।”
বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “যারা বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে চায়, তাদের এবার গণতান্ত্রিক উপায়ে ডিটেনশন ক্যাম্পেই পাঠাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রথম থেকেই আমরা বিজেপিকে বাংলাবিরোধী বলে এসেছি। আজ থেকে ১৬-১৭ মাস আগে ব্রিগেডের সভায় আমরা যে স্লোগান দিয়েছিলাম—‘জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’—তা ছিল শুধু একটি রাজনৈতিক স্লোগান নয়, বিজেপির প্রকৃত চরিত্রের উন্মোচন। ওরা বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করে, মাঠে হার মানলে চক্রান্ত করে গরিব মানুষকে বিপদে ফেলতে চায়। কেন্দ্রীয় অর্থ আটকে রাখে। ওদের একটাই পরিচয়—ওরা বাংলাবিরোধী।”
ভিন রাজ্যে বাংলা ভাষা বলায় বাঙালিদের হেনস্তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “বাংলায় কথা বললেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বাংলাদেশি! ১৫ দিন কেটে গেল, কেন্দ্র সরকার কী ব্যবস্থা নিল?” তিনি স্পষ্ট জানান, “আমি গর্ব করে বাংলায় কথা বলব। দরকার হলে লোকসভাতেও এই সেশনেই বাংলায় কথা বলব। আগে ১০ বার বলতাম, এবার ৫০০ বার বলব। বিজেপি বলবে, আর আমরা বাংলা বলব না? ওদের কথায় বাংলা উঠবে বসবে নাকি?” অভিষেকের দাবি, বাংলায় মাটি শক্ত করতে না পারার হতাশা থেকেই বিজেপি এখন রাজ্যের মানুষকে অপমান ও হেনস্তার ছক কষছে।
বঙ্গ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে দুর্গা ও কালী স্মরণ নিয়ে এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাইয়ের শহিদ মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “আগে বলত জয় শ্রী রাম, এখন বলছে জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী। ছাব্বিশের (২০২৬) পর ‘জয় বাংলা’ বলিয়েই ছাড়ব।” তিনি স্পষ্ট জানান, “আমি ভবিষ্যদ্বাণী করি না। কিন্তু যখন কিছু বলি, তা ভেবে-চিন্তেই বলি। বাংলার রাজনৈতিক আবর্জনাকে এবার ঝেঁটিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে হবে।”
পদ্মফুল উপড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক আরও বলেন, “একদিকে ইডি লাগিয়ে বিরোধী নেতাদের জেলে পাঠানো হচ্ছে, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।” চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা মেরুদণ্ড বিক্রি করব না।” একুশের মঞ্চ থেকেই দিল্লিকে কাঁপানোর আহ্বান জানান তৃণমূলের এই সেনাপতি।
তৃণমূলের এই বার্তা আগামী দিনে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভাষণ নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি করেছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।