Abhishek Banerjee On ECI Protest : বিরোধীদের কমিশন ঘেরাও, দিল্লি পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিষেক
ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ অগাস্ট : তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি পুলিশের ‘বর্বরোচিত আচরণে’ তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। বিরোধী দলের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দর থেকে মুখ খোলেন তিনি (Abhishek Banerjee On ECI Protest)। অভিষেক বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের আয়োজন করেছিলাম। অথচ দিল্লি পুলিশ মহিলা সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে— এটা একেবারে বর্বরোচিত।” তিনি আরও বলেন, “এইভাবে আমাদের দমন করা যাবে না।” একইসঙ্গে প্রয়োজন হলে আবারও নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের ডাক দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চলছিল। কোনও রকম অশান্তি ছিল না। প্রায় ৩০০ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি গিয়েছিলেন, মাত্র ৫ থেকে ৭টি প্রশ্নের জবাব জানতে। কিন্তু তাঁদের নির্বাচন কমিশনের অফিস পর্যন্ত পৌঁছতে দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “মহিলা সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে অতিসক্রিয় দিল্লি পুলিশ।”এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিষেক স্পষ্ট বার্তা দেন, “এই লড়াই এখানেই শেষ নয়— আমরা লড়াই জারি রাখব, এক ইঞ্চিও পিছু হটব না।”
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার নামে ‘ভোটচুরি’র অভিযোগ তুলে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিল্লি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন চত্বর থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করা।অবস্থা উত্তপ্ত হতে পারে, এই আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগেভাগেই বিরোধী সাংসদদের চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই প্রস্তাব উপেক্ষা করে মিছিল শুরু হয় সংসদ ভবন থেকে। মিছিল কিছুটা এগোতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন প্রতিবাদী সাংসদরা। মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয়।
পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেবরা শাড়ি পরেই ব্যারিকেডে উঠে প্রতিবাদে অংশ নেন। ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় সপা নেতা অখিলেশ যাদব ও ভূপেন্দ্র যাদবকেও। মিছিল থেকে একের পর এক স্লোগান ওঠে— “গলি গলি মে শোর হ্যায়, নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়”। দিল্লি পুলিশের তরফে মিছিল আটকাতে তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়। পুলিশ ও প্রতিবাদীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই ধস্তাধস্তির মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও মিতালি বাগ।
এই ঘটনার পরই তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের ডাক দেয়।