Abhishek On 100 Days Work Controversy : ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের! SIR নিয়ে হুঁশিয়ারি কমিশনকেও!
ডিজিটাল ডেস্ক, ১৮ অগাস্ট : ১ আগস্ট থেকে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ (MGNREGA) পুনরায় চালু করার এবং বকেয়া অর্থ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে, কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না, কারণ তারা চায় না বাংলার গরিব মানুষেরা তাঁদের প্রাপ্য টাকা পান। এই কারণেই আমরা বারবার বলি, এটা জনবিরোধী এবং বাংলা-বিরোধী সরকার (Abhishek On 100 Days Work Controversy)।”
তিনি আরও বলেন, “দেশকে যেভাবে বিজেপি চালাচ্ছে, তা মানুষ এখন স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে। এই সরকার গোড়া থেকেই জনস্বার্থের বিরুদ্ধে।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও কড়া প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “ভোটার তালিকায় এখনও লক্ষ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম রয়েছে। ওই ভুলভ্রান্ত তালিকার ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাহলে যদি সত্যিই তদন্ত (SIR) করতে হয়, আগে লোকসভা ভেঙে নতুন করে ভোট হোক। আমরা তো জনগণের সামনে যেতে ভয় পাচ্ছি না, ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই কমিশনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “রবিবার বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে যেসব প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, তার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। এ থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে—কমিশন যা বলছে, আর বাস্তবে যা করছে, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে।”
নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নোটিস নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কমিশন বলছে, সাত দিনের মধ্যে হলফনামা না দিলে কোনও দাবির গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। আমি পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি—বিহারে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কমিশন হলফনামা দিয়ে প্রমাণ দিক, যদি একটি নামও ভুলভাবে বাদ পড়ে থাকে, তাহলে কি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ইস্তফা দেবেন?”
অভিষেক অভিযোগ তোলেন, নির্বাচন কমিশন কার্যত বিজেপির হয়ে কাজ করছে। বাংলার ভোটার তালিকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তাঁর কড়া বার্তা, “জোর করে যদি একটা নামও বাদ দেওয়া হয়, তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে কমিশনকে বুঝিয়ে দেব বাংলা কী করতে পারে।”
এছাড়াও, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ আটকে রাখার ইস্যুতেও ফের সরব হন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, “গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্র বাংলায় একাধিক প্রকল্পের—যেমন আবাস, রাস্তা ইত্যাদির—প্রায় ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। মোদীকে বলুন আগে সেই টাকা মেটাতে, তারপর বাংলা নিয়ে মন্তব্য করতে।”