Abhishek On Upcoming Elections : পুরনো ‘পরীক্ষীত’ কর্মীদের সামনের সারিতে রেখে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা অভিষেকের

46

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ অগাস্ট : গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে আশানুরূপ ফল পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সামনে বিধানসভা ভোট, আর সেই লড়াইকে কেন্দ্র করেই এবার সংগঠন মজবুত করতে কোমর বেঁধে নামছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek On Upcoming Elections)।

সোমবার উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে অভিষেকের মূল বার্তা— পুরনো ও পরীক্ষিত কর্মীদের সামনে রেখে সংগঠনকে আরও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে হবে। দলীয় ঐক্য বজায় রেখে সবাইকে একসঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য।

সূত্রের খবর, বৈঠকে জেলা নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুরনো এবং নিষ্ঠাবান কর্মীদের সামনে নিয়ে আসুন। যারা বছরের পর বছর ধরে তৃণমূলের জন্য নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন, তাদের উপযুক্ত গুরুত্ব দিতে হবে।” এছাড়াও ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিকে আরও সক্রিয় করতে প্রত্যেক বুথে অন্তত দুটি করে সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রচার জোরদার করার পাশাপাশি, এনআরসি বিরোধী প্রচারেও গতি আনার নির্দেশ দেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিষয়টি আরও আক্রমণাত্মকভাবে তুলে ধরার কথা বলেন তিনি। বিশেষ করে, যেসব বুথে বিজেপি জিতেছে, সেখানে গিয়ে প্রচার করতে হবে— কেন আবাস যোজনার টাকা আটকে রয়েছে, এবং কেন্দ্র কীভাবে সাধারণ মানুষকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে।

এই প্রেক্ষাপটে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে অভিষেক রায়গঞ্জ ও করণদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথস্তরে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। দলীয় স্তরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদলের ইঙ্গিতও এদিন মিলেছে বলে সূত্রের খবর। লক্ষ্য একটাই— উত্তরবঙ্গে ফের সংগঠন মজবুত করে ঘুঁটি সাজানো।

উল্লেখযোগ্য, রায়গঞ্জ একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল। ১৯৬২ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত কংগ্রেসের দখলেই ছিল এই আসন। প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি ও দীপা দাসমুন্সির গড় হিসেবে পরিচিত এই কেন্দ্রে ২০১৪ সালে জেতেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম, যা বামেদের জন্য ছিল একপ্রকার অক্সিজেনের মতো। কিন্তু ২০১৯ সালে ইতিহাস ওলটপালট করে জয়ী হন বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। এরপর ২০২৪ সালের লোকসভাতেও ওই আসনে পদ্ম ফোটে।