ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুন : বিহারের ভোট যত এগিয়ে আসছে , বিহার তার আসল রুপ দেখচ্ছে। চমকের পর চমক দিয়ে চলেছে বিহার। শুরু হয়েছিল লোকসভা ভোটের সময় থেকেই, নিতিশ কুমারের ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে এনডিএ-তে ফেরা। আর এবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল “এইআইএমআইএম” এর ইন্ডিয়া জোটে আসার জল্পনা। বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারে লড়াই করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে ওয়েইসির দল। সূত্রের দাবি, “এইআইএমআইএম” কে মহাজোটে শামিল করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে আরজেডি (AIMIM India Alliance)।
কতটা গ্রুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এবারের বিহারের বিধানসভা ভোট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি যেখানে দেখা গেছে ইতিমধ্যেই যাদব পরিবারে ভাঙনের ছায়া। লালু তার বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবকে বহিষ্কার করে দল ও পরিবার থেকে। সেখানে “এইআইএমআইএম” লড়তে চাইছে, সেগুলি কংগ্রেসের আসনে। ২০২০ বিধানসভায় বিহারে আচমকায় শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে উঠে আসে “এইআইএমআইএম”। সীমাঞ্চল এলাকায় ৫টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয় ওয়েইসির দল। একাধিক আসনে তাঁদের প্রাপ্ত ভোটই হার জিতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও পরে “এইআইএমআইএম”এর পাঁচ বিধায়কের চারজনই আরজেডিতে যোগ দেন। একমাত্র অবশিষ্ট বিধায়ক আখতারুল ইমানই এখন মিমের রাজ্য সভাপতি। তিনি প্রকাশ্যেই বলছেন, “আমরা আরজেডির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বিহার বিধানসভায় একসঙ্গে লড়তে আমরা আগ্রহী।”
আরজেডির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, কয়েকজন বিধায়কের মাধ্যমে আমরা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি আমাদের জোটের প্রস্তাব এখনও খারিজ করে দেননি। তাঁর বক্তব্য, কোনও একটা দলের পক্ষে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। তাই সকলকে একজোট হতে হবে। মহাজোটের শরিকদের উপর চাপ বাড়াতে “এইআইএমআইএম” রাজ্য সভাপতির সেটা না হলে ভোট কাটাকাটির পরিস্থিতিতে বিজেপিই যে ফায়দা পাবে, সেটার দায় নিতে হবে আরজেডি-কংগ্রেসকে। সূত্রের দাবি, এআইএমআইএমকে ইন্ডিয়া জোটে নিলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে সুবিধা হবে সেটা মানেন তেজস্বী যাদবও। কংগ্রেসও ওয়েইসির দলকে জোটে নিতে মোটামুটি রাজি। সমস্যা হল বাম দলগুলিকে নিয়ে। তারা আদর্শগত জায়গা থেকে কোনওভাবেই “এইআইএমআইএম”কে জোটে নিতে নারাজ। তাছাড়া আসন সমঝোতার ক্ষেত্রেও সমস্যার জায়গা আছে। “এইআইএমআইএম” সীমাঞ্চলে মুসলিম অধ্যুষিত ২৪ আসনে লড়তে চায়, সেখানে আরজেডি ৮-৯টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ।তবে মতাদর্শগত সমস্যা মিটে গেলে আসন সমঝোতাটা সমস্যার কারণ হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।