ডিজিটাল ডেস্ক ২৭ জুনঃ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিজে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াচ্ছে। পাল্টা শুল্কের হার যাতে যুক্তরাষ্ট্র কমায়, সে জন্য সরকার থেকে সরকারি পর্যায়ে বেশি দামে তিন লাখ টন গম আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার খাদ্যসচিব মাসুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত কমিটির বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়। শুল্ক কমানোর আশায় গম এবং বিমান বেশি দামে আমেরিকা থেকে কিনতে পারে বাংলাদেশ (America Bangladesh News)।
বাংলাদেশি পণ্য এমনিতে আমেরিকায় রফতানি করা হয় ১৫ শতাংশ শুল্কে। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর গত এপ্রিল মাসে বিভিন্ন দেশের উপরে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেন। বাংলাদেশের পণ্যে চাপানো হয় বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক। এর ফলে বাংলাদেশের পণ্যের জন্য আমেরিকার মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ। যদিও তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। এই তিন মাসে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার দর কষাকষি চলছে। বাংলাদেশও শুল্ক হ্রাসের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ছাড়া বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনার পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশটি থেকে তুলা আমদানির প্রক্রিয়াও সহজ করছে বাংলাদেশ। খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রগুলো জানায়, ২৯ জুন অনুষ্ঠেয় আলোচনা ফলপ্রসূ হলে ঠিক হতে পারে পাল্টা শুল্কের নতুন হার।বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে। গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা অর্থাৎ বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ। শুল্ক আরোপের কার্যকরের তারিখ ছিল গত ৯ এপ্রিল। তবে ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা নতুন শুল্ক হারের ঘোষণাও তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে। স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৯ জুলাই।
বাংলাদেশ সাধারণত গম আমদানি করে থাকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। এই দুই দেশের গমের দাম তুলনামূলক কম। সূত্রের খবর, আমেরিকা থেকে যদি গম কেনা হয়, তবে বাংলাদেশকে প্রতি টনে ২০ থেকে ২৫ ডলার বেশি খরচ করতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৭০০ থেকে ২১০০ টাকার সমান। তবে রাশিয়া বা ইউক্রেনের গমের চেয়ে আমেরিকার গমের খাদ্যমান উন্নত। বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মতে, শুল্ক এবং বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে তাঁদের আলোচনা ইতিবাচক পর্যায়ে রয়েছে। শীঘ্রই তার সুফল পাওয়া যেতে পারে।