American city Under Warning Issue:” ভয়ংকর জবাব দেওয়া হবে” দাবি ইরানের, আমেরিকায় বাড়ল নিরাপত্তা,জারি সতর্কতা,

11

ডিজিটাল ডেস্ক ২২জুনঃ এর প্রত্যুত্তর হবে ভয়ংকর,সাফ জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। সে দেশের সরকারি প্রচারমাধ্যমের দাবি, প্রতিটি মার্কিন নাগরিক ইরানের টার্গেট। আমেরিকা যে লড়াই শুরু করেছে ইরান তা শেষ করবে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের (American city Under Warning Issue)।

নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটনের মতো আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে সতর্কতা জারি করলেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ! ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে আমেরিকার বিমান হামলার পরই সতর্ক প্রশাসন। পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনার মধ্যেই আমেরিকার শহরগুলিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন,আমেরিকা কি ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কা করছে?

নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তারা ইরান এবং পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। এক বিবৃতিতে নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক স্থানগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশও একই পথে হাঁটছে। শুধু তা-ই নয়, দেশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে স্থানীয় পুলিশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘সফল ভাবে’ হামলা চালিয়েছে। হামলার কথা মেনে নিয়েছে ইরানও। তবে ‘শত্রুদের হামলা’ ইরানের আণবিক শক্তিধর হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সে দেশের অ্যাটোমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন।

আমেরিকার ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পাজেস্কিয়ান। তাঁর কথায়, “ইহুদি রাষ্ট্র ও তাঁর বন্ধুদের ক্রমাগত হামলার জবাব দেওয়া হবে। সেই প্রত্যুত্তর হবে ভয়ংকর।” দেশের মাটিতে আমেরিকার হামলাকে অপরাধমূলক আচরণ তকমা দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ সকালে আমেরিকার আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর। এর সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিটি সদস্যর এই ঘটনায় সতর্ক হওয়া উচিত। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক, বেআইনি এবং অপরাধমূলক আচরণ।”