ডিজিটাল ডেস্ক,৪ জুনঃ আজ চারদিন হয়ে গেলেও কেষ্টদার দেখা নেই থানায়। পরপর ২ বার পাঠানো সমনে অসুস্থতার দোহাই দিয়ে কেষ্ট এড়িয়ে গেলেও তার অনুগামীর কিন্তু ছাড় নেই। তৃণমূলের ছাত্র নেতা বিক্রমজিৎ সাউ বুধবার সকালে সিউড়ি থানায় হাজিরা দিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এ দিন তিনি থানায় হাজির দেন বলে খবর। সিউড়ি থানা থেকে যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে কুরুচিকর ভাষায় কথোপকথনের ঘটনায় অনুব্রতকে আগেই থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। ওই ঘটনাতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাসপেন্ডেড সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউয়ের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছিল (Anubrata News Update)।
বুধবার সকাল দশটায় হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছিল বিক্রমজিৎকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ছ’টা থেকে সাড়ে ছ’টার মধ্যে থানায় যান বিক্রমজিৎ। প্রায় এক ঘণ্টা সিউড়ি থানায় ছিলেন তিনি। অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি যা মন্তব্য করেছেন, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর।
সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পরই কেষ্টদাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিক্রমজিৎ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “লিটন হালদার নাম নিয়ে বলছি, তোমার দম থাকলে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে, বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে এফআইআর করে দেখিও। তুমি জানো, তুমি দুর্নীতিপরায়ণ। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে। তুমি যদি ভাবো ডালে ডালে চলবে, তোমাদের শিরায় উপশিরায় আমরা চলি।”
ছাত্র পরিষদের ঐ নেতা বীর বিক্রমে চ্যালেঞ্জও করে আইসি লিটন হালদারকে আরও বলে, ” তুমি একটা আইসি, সরকারি কর্মচারী। পারলে আমার নামে কেস করো। তুমি যে অন্যায় করেছ, তার শাস্তি তোমাকে বীরভূমেই পেতে হবে।” শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও তোলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরই দলের পক্ষ থেকে। ঐ নেতার বাবা বিদ্যাসাগর সাউও বিরক্তি প্রকাশ ছেলের এই আচরণে। বিদ্যাসাগর সাউ বলেছেন” আমি বাবা হিসেবে ব্যর্থ। আমার লজ্জা, ছেলেকে আমি শালীনতা শেখাতে পারিনি। আমি ওই অফিসারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”