Bangladesh Controversy : বাংলাদেশে বাতিল চারশোর বেশি নেতার স্বীকৃতি! আর ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নন শেখ মুজিব!
ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে, যার ফলে তিনি আর ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃত নন পড়শি দেশে (Bangladesh Controversy)। শুধু তিনিই নন, চারশোর বেশি নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এই বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ-সহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চারশোর বেশি রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৯৪তম সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়, যার প্রস্তাবে গত ১০ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম স্বাক্ষর করেন।
সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি আরও চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে সনদ বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে কেবল তাঁরা থাকবেন, যাঁরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। রাজনীতিবিদরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি, তাই তাঁদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে নতুন পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে তাঁদের মর্যাদায় কোনও পরিবর্তন হয়নি, বরং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
নতুন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হচ্ছে, যা নিয়ে বিতর্ক চলছে। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উঠছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নাম ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যিনি এক কুখ্যাত গণহত্যাকারী রাজাকার হিসেবে পরিচিত।
ঢাকার রাস্তায় হিজবুত তাহরিরের সদস্যদের উপস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, পাশাপাশি আনসারুল্লা বাংলা টিমও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকদের মতে, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা কমিয়ে প্রকৃত রাজাকারদের স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে ইউনুস সরকার। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এবার ইউনুস প্রশাসন ‘মুক্তিযোদ্ধা’ উপাধি বাতিলের পদক্ষেপ নিয়েছে, যা অনেকের মতে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।