Bangladesh Mass Murder Jamat Release : এবার ৭১-এর গণহত্যায় দোষী জামাত নেতার ফাঁসির সাজা মকুব

8

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ মে : বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির সাজা মকুব করেছে, যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে, অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে (Bangladesh Mass Murder Jamat Release)। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, কারণ এটি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির প্রভাব প্রতিফলিত করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সেনারা বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক গণহত্যা ও গণধর্ষণের মতো নারকীয় অপরাধ চালায়। এই সময় তাদের সহযোগিতা করেছিল স্বাধীনতা বিরোধী জামাত বা রাজাকার বাহিনী, যারা পাকিস্তানি শাসন ও উর্দু ভাষার পক্ষে ছিল। রাজাকার বাহিনীর নেতা হিসেবে পাক সেনার সহযাত্রী হয়ে রংপুর গণহত্যা ও গণধর্ষণসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, ২০১২ সালের আগস্টে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ফাঁসির সাজা দেয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন আজহারুল, তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য শীর্ষ আদালতের উচ্চতর বেঞ্চে আবেদন করেন, যা সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে আজহারুলকে ‘নির্দোষ’ ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

আজহারুলের মুক্তি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার জামাতের প্রধান শফিকুর রহমান দলের অতীত ভূমিকার জন্য ক্ষমা চান। তিনি বলেন, “আমাদের কোনও আচরণ বা ভূমিকার কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমরা মানুষ, ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ নই। দল হিসেবে আমরাও দাবি করি না যে, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেছিলেন, “দেশ ভারতের সাহায্য নিয়ে স্বাধীন হোক, তা আমরা চাইনি।”