Bangladesh TMC News : বাংলাদেশের অগস্ট আন্দোলনের মুখ নিউটন ভারতের ভোটার?

12

ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ জুন : বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ নিউটন দাসকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ভোটার হিসেবে পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি বাংলাদেশের ভোটারও। ভাইরাল ছবিতে দেখা গেছে, তিনি বাংলাদেশের অগাস্ট আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। নিউটন দাস স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষনগরের ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাঁর দাদা তপন দাস স্বীকার করেছেন, নিউটন বাংলাদেশেরও ভোটার এবং কিছুদিন আগেই কাকদ্বীপের সুভাষনগরে থাকতেন। এই বিষয়ে কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, নিউটন কাকদ্বীপের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)-এর কর্মী ছিলেন এবং স্থানীয় TMCP নেতা দেবাশিস দাসের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবি রয়েছে (Bangladesh TMC News)। তবে দেবাশিস দাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।

বাংলাদেশের অগস্ট আন্দোলনের অন্যতম মুখ নিউটন দাসকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এবার কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসায় রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিউটন দাস স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা হলেও তিনি দুই দেশের নাগরিক, এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতের ভোটার—এ কথা স্বীকার করেছেন তাঁর দাদা তপন দাস। জানা গেছে, তিনি কিছুদিন কাকদ্বীপের সুভাষনগরে ছিলেন, তবে এখন বাংলাদেশে বসবাস করছেন, যেখানে তাঁর মা-বাবাও রয়েছেন। একজন ব্যক্তি কীভাবে দুই দেশের নাগরিক এবং ভোটার হতে পারেন, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে শাসক দল সরব থাকলেও, এই ঘটনা বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে, এবং শাসক দলকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

নিউটন দাসের দাদা তপন দাস জানিয়েছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে তিনি ভারতে এসেছিলেন। তাঁর নামে থাকা জমির ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি আর কাকদ্বীপে থাকেন না। নিউটনের জন্ম বাংলাদেশে, এবং তিনি সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়েছেন। তপন দাস স্বীকার করেছেন, তাঁর ভাই নিউটন দুই দেশের নাগরিক এবং ভোটার। অন্যদিকে, কাকদ্বীপের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা দেবাশিস দাস জানিয়েছেন, নিউটন তাঁর স্কুলের বন্ধু ছিলেন, যদিও ২০২১-২২ সালের পর হঠাৎ দেখা হয়েছিল। তিনি জানান, নিউটন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন না। দেবাশিস আরও বলেন, নিউটনের দাদা ও দিদির কাকদ্বীপে বাড়ি ছিল এবং জায়গা-জমি বিক্রির ব্যাপারেও নিউটন তাঁর কাছে এসেছিলেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক এখনো তুঙ্গে।