Bangladeshi Model Arrest: বাংলাদেশী মডেল শান্তার রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্ক যোগ ? এত নথি পেল কোথা থেকে ?

89

ডিজিটাল ডেস্ক ১লা অগাস্টঃ বাংলাদেশের মডেল। ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ভারতের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড বানিয়ে ফেলেছিলেন শান্তা পাল। এবার আরও তথ্য সামনে এল। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এত নথি তিনি পেলেন কোথা থেকে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই নথি তৈরির চক্রের হদিশ পেতে চাইছে লালবাজার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তার বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। বাংলাদেশের দুই নামী সংস্থার মডেল ছিলেন তিনি। একাধিক বিউটি প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছিলেন। কলকাতায় অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিনি। পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ যাদবপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে(Bangladeshi Model Arrest)।

সূত্রের খবর, মেডিক্যাল পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসেছিলেন শান্তা। ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কলকাতায় থেকে যান। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি আধার কার্ডের একটির ঠিকানা কলকাতা। এবং অন্য আধার কার্ডের ঠিকানা বর্ধমান। কলকাতার পাশাপাশি বর্ধমানের ঠিকানা পেতে কে বা কারা সাহায্য করল, তা জানতে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে শান্তাকে।

এখানে থেকে গাড়ির ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন শান্তা। সেইজন্য তাঁর নথি বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়। সেই নথি দেখে সন্দেহ হতেই লালবাজারের নজরে আনা হয় বলে সূত্রের খবর। ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে হোটেল ব্যবসার জন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঋণেরও আবেদন করেছিলেন শান্তা। এমনকি, সেই ঋণ মঞ্জুরও করেছিল ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি। গতমাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেকথা জানিয়েছিলেন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে তিনি কী নথি জমা দিয়েছিলেন, তা জানতে চাইছে পুলিশ। এর পাশাপাশি তাঁর হাত ধরে অবৈধভাবে কতজন বাংলাদেশি ভারতে এসেছেন এবং তাঁরা এখন কোথায় রয়েছেন, তাও জানতে তৎপর লালবাজার।