Bengaluru Stampede Update : পদপিষ্টকাণ্ডে সাফাই দিলেন কর্নাটকের মখ্যমন্ত্রী

16

ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ জুন : কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, তাঁর সরকার আইপিএলজয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিজয়োৎসব আয়োজন করেনি, বরং তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন (Bengaluru Stampede Update)। বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্টকাণ্ডের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

বিরোধীরা বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্টকাণ্ড নিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন। এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, “কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডের সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাই সেখানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানটি আমাদের সরকার আয়োজন করেনি। রাজ্যপালও উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছিল। এর বেশি কিছু আমি জানতাম না, এমনকি স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পাইনি।” তাঁর এই ব্যাখ্যার পরও বিরোধীদের সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে, ফলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আরও গতি পেয়েছে।

ঘটনার দিন চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের অদূরে বিধান সৌধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) খেলোয়াড়দের সম্মান জানানো হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনিই খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা জানান। তবে বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান সংক্ষেপ করা হয়। এরপর বিরাট কোহলি ও তাঁর দল বাসে করে চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের দিকে রওনা দেন, তখনই পদপিষ্টের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরেই চিন্নস্বামীর মাঠে আইপিএল ট্রফি নিয়ে উদ্‌যাপন করেন কোহলিরা। সেসময় সেখানে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারও উপস্থিত ছিলেন।

কর্নাটক হাই কোর্ট বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্টকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে ন’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি ভি কমলেশ্বর রাও ও বিচারপতি সি এম জোশীর বেঞ্চ জানতে চেয়েছে—বিজয়োৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত কে বা কারা নিয়েছিলেন, কবে এবং কীভাবে? এছাড়া, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কি অনুমতি নেওয়া হয়েছিল? হাই কোর্ট আরও জানতে চেয়েছে—যে কোনও বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠান বা উৎসবে ৫০ হাজার বা তার বেশি লোকের ভিড় সামলানোর জন্য আদর্শ কর্মপদ্ধতি (এসওপি) কি প্রণয়ন করা হয়েছিল?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর ১০ জুনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে।