ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ জুলাই : ভাঙ্গড়ে রাজ্জাক খান খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভাঙ্গড় পানাপুকুর এলাকার বাসিন্দা, রেজাউল মোল্লাকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশিপুর থানা পুলিশ। গতকাল রাতে চন্দনেশ্বর এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে রেজাউল মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Bhangar Arrest Update)।
তৃণমূল নেতা খুনের পর রবিবার দলেরই নেতা মোফাজ্জেল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃত ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূল কমিটির সদস্য। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করেই বাকি অভিযুক্তদের ব্যাপারে জানাতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
বাড়ি থেকে অদূরেই শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পর তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। উত্তর কাশীপুর থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর,গুন্ডা দমন শাখা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুঁদে অফিসাররা তদন্ত শুরু করেন। পাশাপাশি খোদ লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধান রুপেশ কুমার এবং ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষও ঘটনায় বিশেষ নজর দিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে,খোদ লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধান ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোফাজ্জলকে জিঞ্জাসাবাদ করেন। এরপরই এই তিনজনের ব্যাপারে জানতে পারা যায়। তৃণমূল নেতা খুনে দলেরই নেতা গ্রেপ্তার হলেও বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি করেন, এই খুনের ঘটনায় যুক্ত রয়েছে আইএসএফ। অভিযুক্তকে তৃণমূল নেতা বলা হলেও তিনি তৃণমূলের নেতা নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি রাজ্জাক খাঁ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে পরপর তিনটি গুলি করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। সেই ঘটনায় প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতা খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।