Bihar Election:বিহার বিধানসভার আগে রাহুলের নয়া সুর “গণতন্ত্রে ফিক্সিং”

10

ডিজিটাল ডেস্ক ৭ জুনঃ ২০১৪ এর পর থেকে, নির্বাচন ঘিরে কংগ্রেসের বরাবরেরই অভিযোগ থেকেছে “ইভিএম” নিয়ে। তাদের সব সময়ের বক্তব্য থেকেছে ব্যালট পেপারে নির্বাচন করানোর। রাহুল গান্ধির গলায় বেশিরভাগ সময় শোনা গেছে ইভিএম-এ গলদ । অধিকাংশ কংগ্রেসেরই একই সুর শোনা যায়। আর এবার বিহার নির্বাচনে তাঁর বক্তব্য “গণতন্ত্রে ফিক্সিং চলছে ।” বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ‘জুজু’ দেখছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ,মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ফল আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। বিজেপি নাকি পাঁচ ধাপে এক নিখুঁত ছকে সেই ভোট চুরি করেছে। এবার সেই একই ছক প্রয়োগ হতে চলেছে বিহারে(Bihar Election)।

শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন রাহুল গান্ধী। যা প্রকাশিত হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে। সেই লেখাতেই তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রকে গলা টিপে মারার এক নিখুঁত পরিকল্পনা। তাঁর কথায়, “মহারাষ্ট্রের ফিক্সিং এবার বিহারেও হবে। তারপর যেখানে যেখানে বিজেপি হারছে, সেখানেই এই প্রক্রিয়া চলবে।”এই বক্তব্য শুধু মুম্বাই নিয়ে নয়। তাদের বক্তব্য তাদের দিল্লি নির্বাচনের সময়ও উঠেছিল । তাদের বক্তব্য ছিল বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে এই নির্বাচন হয়েছে। সেই এলাকার লোক না হয়েও বাইরে থেকে এসে ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও শোনা যায় হটাৎ করে কি করে ৭ মাসে ভোটারের সংখ্যা বেড়ে গেল যেখানে লোকসভা ভোটের আগে সেই সংখ্যা ছিল অনেক কম।

২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ সংক্রান্ত আইন বদলে দিয়েছে মোদী সরকার। নতুন আইনে নির্বাচন কমিশনার বেছে নেওয়ার কমিটি তৈরি হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। কমিটির বাকি সদস্যদের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা। রাহুলের প্রশ্ন যেখানে আগে এই কমিটিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, সেখানে এখন তাঁর জায়গায় একজন মন্ত্রী কেন? নিরপেক্ষ একজন বাছাইকারীকে বাদ দেওয়া মানে তো আগে থেকেই ম্যাচ ফিক্সিং করে রাখা। রাহুলের দাবি, ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটার ঢুকে পড়েছে। বরং ঢোকানো হয়েছে।

তৃতীয় অভিযোগটি আরও চাঞ্চল্যকর। রাহুলের দাবি, ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আচমকা দেখা যায়, ভোটার সংখ্যা ৭.৮৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। সংখ্যার হিসেবে তা প্রায় ৭৬ লক্ষ ভোট। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভোটগুলি এল কোথা থেকে?রাহুল বলেছেন, বিজেপি জাল ভোট করিয়েছে ঠিক সেসব আসনে যেখানে তাদের জয়ের দরকার ছিল।২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছিল কংগ্রেস-সহ ইন্ডি জোট। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে বিধানসভা ভোটে ছবিটা পাল্টে যায়। ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি ও তাদের শরিকরা জয়ী হয় ২৩৫টি আসনে। যে ফলাফল অবাক করে দেয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও।

রাহুল গান্ধীর আশঙ্কা, বিহারেও এই একই নির্বাচনী ছক প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। কারণ সেখানে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন। এবং বিজেপি-র সেখানে হারার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।নিজের ওই নিবন্ধে রাহুল শুধু অভিযোগই তোলেননি, ভোটারদের উদ্দেশে বার্তাও রেখেছেন বলেছেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে এই কারচুপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে।