ডিজিটাল ডেস্ক, ২ মে: পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র নতুন কিছু নয়—এবার সেই অভিযোগ স্বীকার করলেন খোদ প্রাক্তন পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রী এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ইসলামাবাদ যে একাধিক জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, তা মোটেও ‘গোপন’ কোনও তথ্য নয় বরং পাকিস্তানের অতীতের এক সুপরিচিত বাস্তব।
এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোকে বলতে শোনা যায়, “প্রতিরক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে আমি একমত। পাকিস্তানের অতীত কোনও গোপন বিষয় নয়। এর পরিণতি আমাদের ভোগ করতে হয়েছে। দেশ চরমপন্থার একের পর এক ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তবে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কারের পথে হেঁটেছি।” যদিও তিনি স্বীকার করেন পাকিস্তানের অতীতে সন্ত্রাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, তা মানতে রাজি নন। তাঁর কথায়, “এটা আমাদের ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাস মানে এই নয় যে আজও আমরা তা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এটাও সত্যি যে এই অধ্যায় আমাদের অতীতের এক দুর্ভাগ্যজনক অংশ।”
প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে বলেন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে আমি একমত। পাকিস্তানের অতীতে কোনও গোপন দিক নেই। এর জন্য আমাদের অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছে। আমরা চরমপন্থার একাধিক ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তবে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবং দেশের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করেছি।” যদিও অতীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যোগ ছিল তা তিনি স্বীকার করেছেন, তবে এখন যে পাকিস্তান সেই পথে চলছে তা মানতে নারাজ ভুট্টো। তাঁর কথায়, “এটা আমাদের অতীতের অংশ। কিন্তু অতীত মানে এই নয় যে আজও আমরা একই পথে হাঁটছি। তবে স্বীকার করতেই হবে, এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের এক দুর্ভাগ্যজনক অধ্যায়।”
উল্লেখযোগ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—সেনার পোশাক পরে এসে জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হামলার দায় প্রথমে স্বীকার করলেও, পরে তা অস্বীকার করে লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। তবে সূত্র বলছে, কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস ছড়াতে টিআরএফ-কে প্রশ্রয়, রসদ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে শক্তিশালী করে তুলেছে পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এই নৃশংস হামলার পেছনেও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে সেই পাকিস্তানি মদতের প্রমাণ।
Comments are closed.