Birbhum Blast Death : লাভপুরে বোমা বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ২

17

ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ জুন : লাভপুর থানা এলাকার হাথিয়া গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে বারবার সংঘর্ষ হয়। সূত্রের খবর, বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন (Birbhum Blast Death)। শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত পুলিশ গ্রামে প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। মৃতদেহগুলি অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান।

হাথিয়া গ্রাম নকল কয়েন ব্যবসার জন্য একসময় কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল। সম্প্রতি, গ্রামের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। একদিকে হাতিয়ার বুথ সভাপতি শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি, অন্যদিকে নকল কয়েন চক্রের শীর্ষ ব্যক্তি শেখ মনির—এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ছয় মাস পলাতক থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় শেখ মইনুদ্দিন ও শেখ মুস্তাফি গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করলে শেখ মনিরের অনুগামীরা তাঁদের বাধা দেয়। হাথিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। রাত ৩টার দিকে ফের ঢোকার চেষ্টা হলেও তাঁদের ফের আটকে দেওয়া হয়। শনিবার ভোর ৭টায়, দলবল নিয়ে তৃতীয়বার গ্রামের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন মইনুদ্দিন ও মুস্তাফি।

মনিরের গোষ্ঠী যখন গ্রামের ছাতিম পুকুরের ধারে বোমা তৈরি করছিল, সেই সময়ই ঘটে যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণের তীব্রতায় কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হন এবং দু’জনের মৃত্যু ঘটে। মৃতরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল খানের ভাগ্নে ও তৃণমূল নেতা শেখ বাদলের পুত্র। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এবং তদন্ত চলছে। উল্লেখযোগ্য বিষয়, গত বছরের মার্চ মাসেও এই অঞ্চলে একটি নকল অস্ত্র কারখানার হদিস পায় লাভপুর থানার পুলিশ। সেসময় অভিযানে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা হয়, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। পুরনো সেই উত্তেজনার রেশ কাটার আগেই আবার উত্তাল হাথিয়া গ্রাম।