ডিজিটাল ডেস্ক ২৪জুনঃ অনুব্রত কাণ্ডে বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপকে দিল্লিতে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের। ১ জুলাই তাঁকে দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে পুলিশ সুপার যেতে না পারলে তদন্তকারী অফিসার অর্থাৎ বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগারওয়ালকে পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে । কেউ না গেলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন। এই তলব পাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ সুপার আমনদীপ। তিনি হাজিরা দেবেন কি না, তাও বলেননি। উল্লেখ্য, এই কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল একবার থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন। আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। পরে আর আদালত বা থানায় তিনি যাননি। বিরোধীদের অভিযোগ, অনুব্রত প্রভাবশালী বলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে (Birbhum Police Summon)।
গত ২৯ মে একটি অডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে এক ব্যক্তি বোলপুরের আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলছিলেন। অডিওটিতে আইসির মা-স্ত্রীকে নিয়ে কুকথা করতে শোনা যায় সেই ব্যক্তিকে। ওই কাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশন জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট চায়। জেলা পুলিশ সুপার রিপোর্ট পাঠান। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি মহিলা কমিশন। ফের চিঠি পাঠায় কমিশন।
চিঠিগুলিতে প্রশ্ন তোলা হয়, আইসি লিটন দাসের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও কেন অনুব্রত মণ্ডলের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও, কেন কেষ্ট বাইরে ছিলেন দীর্ঘদিন। তদন্ত কত দূর? সূত্রের খবর, একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অনুব্রত তদন্তে সাহায্য করছেন। আইসির ফোন পরীক্ষা করা হচ্ছে সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।