BJP Leader Theft Arrest : ওড়িশায় গয়না চুরি করে পালাতে গিয়ে গ্রেফতার মেদিনীপুরের ‘প্রভাবশালী’ বিজেপি নেতা
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ জুন : পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ফের বিতর্কে জড়াল। ওড়িশার জলেশ্বরে একটি গয়নার দোকানে সোনার গলার চেন দেখার অজুহাতে তা পকেটস্থ করে পালানোর সময় ধরা পড়েছেন বিজেপির প্রভাবশালী যুব নেতা সোমনাথ সাহু (BJP Leader Theft Arrest)। অভিযোগ, স্করপিও গাড়িতে করে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন এবং পরে ওড়িশা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজনৈতিক অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
কলকাতা আইন কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের সঙ্গে শাসকদলের নেতাদের ছবিকে সামনে এনে জোরদার আক্রমণে নেমেছে রাজ্য ও জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এই ইস্যুতে বিরোধিতা আরও উসকে উঠতেই, তৃণমূল কংগ্রেসও শুরু করেছে পাল্টা প্রচার। ওড়িশায় সোনার চেন চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সোমনাথ সাহু জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শুধু জেলার নেতাদের কাছেই নয়, রাজ্য নেতৃত্বের অন্দরমহলেও তাঁর প্রবেশ ছিল অনায়াস। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে খড়গপুরের বিধায়ক ও অভিনেতা হিরণের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে।
ধৃত সোমনাথ সাহুর আদি নিবাস মেদিনীপুর শহরের পাটনা বাজার এলাকায় হলেও বর্তমানে তিনি সপরিবারে থাকেন হবিবপুর, ১ নম্বর ওয়ার্ডে। গত পুরসভা নির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকেই তাঁর স্ত্রী স্মৃতিলেখা সাহু বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজনৈতিক মহলে সোমনাথ পরিচিত ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক এবং জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে।
ওড়িশায় সোনা চুরির ঘটনায় বাজেয়াপ্ত হওয়া স্করপিও গাড়িটি নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। সূত্রের খবর, প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে স্নানের উদ্দেশ্যে মেদিনীপুর থেকে একাধিক বিজেপি নেতা যে চার-পাঁচটি গাড়িতে গিয়েছিলেন, তার মধ্যেই ছিল এই স্করপিওটি। সেই গাড়ি ব্যবহার করেই চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়েন সোমনাথ সাহু। তবে ঘটনার পর থেকেই জেলা বিজেপি নেতারা ধৃত যুব নেতার থেকে দূরত্ব রাখার চেষ্টা করছেন। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস জানিয়েছেন, “গত এক বছর ধরে সোমনাথ পার্টির দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন না।” যুব মোর্চার জেলা সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিকও জানান, সোমনাথ সক্রিয় সদস্যপদে ছিলেন না। নেতাদের প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট, তাঁর এই অপরাধমূলক কাজ দলের ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।