ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ মে : সোমবার আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধি আলোচনা করবেন। ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা যে চিঠি দিতে চান, তা সঠিক পদ্ধতিতেই গ্রহণ করা হবে, এবং দপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। রবিবার এই তথ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রকাশ করেন (Bratya Basu on SSC)। তিনি আরও জানিয়েছেন যে সরকার চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের চাকরি পুনরুদ্ধারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, চাকরিহারাদের মধ্যে তিনটি পক্ষ রয়েছে—কেউ আন্দোলনে সক্রিয়, কেউ সরকারের ওপর ভরসা রাখছেন, আবার কেউ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, সরকার চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি পরামর্শ দেন, যদি আন্দোলনকারীরা আলোচনা করতে চান, তবে সঠিক পদ্ধতিতে চিঠি দিন। সরকার তাঁদের বক্তব্য শুনেছে, এবং সোমবার দপ্তরের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যে চিঠি আন্দোলনকারীরা দিতে চেয়েছেন, তা সঠিক প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করা হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা আগেই ই-মেল পাঠিয়েছেন এবং সোমবারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি জানিয়েছেন। যদি সেই সাক্ষাত না হয়, তবে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, তিনি একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে তিনি বলেন, চিঠিতে উল্লেখ নেই কেন তাঁরা বসতে চেয়েছেন। তবুও সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশেই বাতিল হল এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেল, যার ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
চলতি বছরের মধ্যেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে, নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারাদের একাংশ—তাঁরা ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবি তুলেছেন। এই দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে টানা ১৯ দিন ধরে ধরনা চলছে। যদিও শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই আন্দোলন বিকাশ ভবনের বদলে সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুল লাগোয়া অঞ্চলে চালানো হবে। আদালত জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে সর্বোচ্চ ২০০ জন আন্দোলনে অংশ নিতে পারবেন। হাই কোর্টের নির্দেশের পর শনিবার চাকরিহারারা জানান, তাঁরা আইনকে সম্মান জানিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে ধরনা তুলে নিচ্ছেন। তবে তাঁদের বক্তব্য, শুধু অবস্থানের জায়গা বদল হচ্ছে, আন্দোলন চলবে আগের মতোই।