China Iran Condemn Pahalgam Attack : পহেলগাঁও হামলার নিন্দায় চিন! ভারতের পাশে থাকার বার্তা ইরানেরও
ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ জুন : পহেলগাঁও হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম। এই বিবৃতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফোরামের সমস্ত সদস্য দেশ, যার মধ্যে রয়েছে ইরানও (China Iran Condemn Pahalgam Attack)। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, এই ফোরামের অন্যতম সদস্য চিন, যাকে আন্তর্জাতিক মহলে ‘পাকিস্তানের বন্ধু’ বলে অভিহিত করা হয়, তারাও এই বিবৃতিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। ফলে কূটনৈতিক মহলে পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত ১১তম ব্রিকস পার্লামেন্টারি বৈঠকে যোগ দিয়েছে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। এই সম্মেলনে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পহেলগাঁও হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি, চিন, ইরান-সহ অন্যান্য সদস্য দেশগুলি এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে সন্ত্রাস দমনে ভারতের পাশে থাকার সংকল্প প্রকাশ করে।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার-সহ একাধিক কার্যকরী প্রস্তাব দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ৫ জুন শেষ হওয়া দু’দিনব্যাপী ব্রিকস সংসদীয় ফোরামে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি, ২০২৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১২তম ব্রিকস সংসদীয় ফোরামের সভাপতির দায়িত্বভারও ওম বিড়লার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়, যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে পর্যটকদের হত্যা করা হয় এবং ২৬ জন নিরপরাধ মানুষের প্রাণ যায়। এই ঘটনার পরই ভারত সরকার পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায়। ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনীর তীব্র আক্রমণে জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস হয় এবং ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়। এদিকে, এর ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সীমান্ত এলাকায় গ্রাম ও ধর্মীয় স্থানগুলিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তানের রেঞ্জার্স বাহিনী, তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে সেই হামলা প্রতিহত করে। তদন্তে জানা যায়, পাকিস্তান যে ড্রোন ব্যবহার করেছিল, তা চিনে তৈরি। এই ঘটনায় ভারত সরাসরি চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, দাবি করে যে চিন পাকিস্তানের সন্ত্রাসকে গোপনে মদত দিচ্ছে। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। চিন নিজেই ব্রিকস সংসদীয় ফোরামে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি চিনের এক নতুন কৌশল, যেখানে তারা কার্যত পাকিস্তানের পাশে না থেকে ভারতের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।