Chiranjit On RG Kar : আরজি কর কাণ্ডে বেসুরো তৃণমূলের চিরঞ্জিৎ? বিস্ফোরক দাবি বিধায়কের!

55

ডিজিটাল ডেস্ক, ১০ অগাস্ট : ঘটনাচক্রে, বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর সাম্প্রতিক মন্তব্য শাসক দলের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এতদিন ধরে তৃণমূল প্রচার করে এসেছে যে আরজি কর-কাণ্ডে যাকে (সঞ্জয় রায়) কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, পরবর্তীতে সিবিআইও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই চার্জশিট দাখিল করে এবং শেষ পর্যন্ত নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্তও হন তিনি। অর্থাৎ, কলকাতা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পথেই সিবিআই এগিয়েছে—এটাই ছিল দলের অবস্থান। সেই প্রেক্ষাপটে চিরঞ্জিতের বক্তব্য দলের বক্তব্যের সঙ্গে সাযুজ্য রাখে না (Chiranjit On RG Kar)।

চিরঞ্জিতের মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘চিরঞ্জিৎবাবু একজন দায়িত্বশীল নাগরিক ও বিশিষ্ট অভিনেতা। তাঁর এমন মনে হওয়ার পেছনে দুটো কারণ থাকতে পারে—এক, তাঁর কাছে কোনও বিশেষ তথ্য আছে, কিংবা দুই, তিনি কারও মুখে শুনে এ কথা বলেছেন। যাই হোক না কেন, তাঁর উচিত সিবিআইয়ের অফিসে গিয়ে সরাসরি তথ্য দেওয়া। মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও মানে নেই।’’

চিরঞ্জিৎ এই মন্তব্য করেন বারাসতের এক রক্তদান শিবিরে। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘আপনার কি মনে হয়, দোষীরা ধরা পড়েছে?’’ উত্তরে বিধায়ক বলেন, ‘‘না, মনে হয় না তো। আমারও মনে হয় না। অনেকেরই মনে হয় না। সিবিআই চোখ বন্ধ করে আছে। কেন্দ্র সরকার কী করছে?’’

আরজি কর-কাণ্ডে আরও অনেকে জড়িত—এই অভিযোগ বহুদিন ধরেই করে আসছে নির্যাতিতার পরিবার। সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হলে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘‘হ্যাঁ, তাদের তো ধরতেই হবে। কিন্তু ধরছে না। পয়েন্ট আউট করতে হবে। ওরা (সিবিআই) দেখাবে, যাবে।’’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘সিবিআই তদন্তে গাফিলতি রয়েছে। শুনেছি, ওপরের একটি ঘর আছে—নম্বার ৯ কি না জানি না—সেখানে নাকি রক্তের দাগ আছে। অথচ এখনও সেই ঘরের চাবিই খোলা হয়নি। সেখানে ঢোকাও হয়নি। বহু গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আছেন, যাঁদের এখনও পর্যন্ত জেরা করা হয়নি।’’

শনিবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে আহত হন নির্যাতিতার মা। এ নিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘‘কে করেছে, সেটা তো এখনও পরিষ্কার নয়। জানা যাক আগে, তারপর বলা যাবে। তবে যারা ওঁকে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত ছিল। বিজেপি নিয়ে গিয়েছিল, ঘিরেও রেখেছিল। সেখানে ঠিকঠাক নিরাপত্তা ছিল না। তার মধ্যেই কী হয়েছে, কে কাকে মেরেছে, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে আমি দুঃখিত, মর্মাহত—ওঁর চোট লেগেছে। এর একটা সমাধান হওয়া জরুরি—এটুকু বলতে পারি।’’