Cloudburst In Himachal: উত্তরাখণ্ডের পর হিমাচল প্রদেশ,হড়পা বানের গ্রাসে কিন্নৌর

47

ডিজিটাল ডেক্স ৬ই অগাস্টঃ উত্তরাখণ্ডের পর এবার হিমাচল প্রদেশ। হড়পা বানে বিদ্ধস্ত বিধ্বস্ত কিন্নৌর জেলা। কিন্নৌর জেলার নিগুলসারির কাছে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে একাধিক এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ধারালিতে মঙ্গলবার এক ব্যাপক হড়পা বানে বহু মৃত্যুর খবরের সঙ্গেই প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচলেও এরকম দুর্যোগ ঘটে(Cloudburst In Himachal)।

সেই সময় ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে অন্তত ৪১৩ জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করল ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (ITBP)। এই উদ্ধারকাজে বিশেষ দড়িভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত হিমালয়ের দুর্গম উচ্চভূমিতে প্রয়োগ করা হয়। ধস ও হড়পা বানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচলের টাংলিং এলাকা। টানা বর্ষণের জেরে যে পাহাড়ি পথ ধরে কিন্নৌর-কৈলাশের দিকে যাত্রা করেন তীর্থযাত্রীরা, তা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে কিন্নৌর জেলা প্রশাসনের তরফে বিপদের বার্তা পাওয়ার পরই ITBP এবং NDRF-এর উদ্ধারকারী দল পৌঁছয় সেখানে।

১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাস্তায় পর্যটকদের গাড়ি আটকে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা অপেক্ষা করছি। কী করব, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। রাস্তা পরিষ্কার হলে আর না গিয়ে ফিরেও যেতে পারি। জীবনের চেয়ে বড় তো কিছু নেই।’’ অম্বালার এক ব্যবসায়ী কাজের সূত্রে ট্রাক নিয়ে নিয়মিত কুল্লু যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আটকে পড়েছে তাঁর ট্রাক। বলছেন, ‘‘জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে বর্ষা শুরু হয়েছে। প্রতি দিন কিছু না কিছু সমস্যা হচ্ছে যাতায়াতে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, রাস্তা খালি করতে আপাতত একটি বিকল্প একমুখী পথ খুলে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। তাতে কেবল হালকা গাড়ি যেতে পারবে।

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, বর্ষার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়়পা বান এবং ভারী বর্ষণের কারণে ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১.৮৫ লক্ষ টাকার।হিমাচল আবহাওয়া দফতরের তরফে চার জেলায় – উনা, কাংড়া, মাণ্ডি ও সিরমৌরে জারি হয়েছে ‘কমলা’ সতর্কতা। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৫টি হড়পা বান ও ৪৮টি বড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১ হাজার ৭৩৮টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে সেগুলি।

বৃষ্টি থামার কোনও ইঙ্গিত নেই এখনই। ফলে পরবর্তী কয়েক দিনেও বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে। শয়ে শয়ে পুণ্যার্থী রাস্তা ও হাইওয়ের ধারে অপেক্ষায় রয়েছেন। পুণ্যার্থীদের ঘুরপথে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। টাঙ্গলিপ্পি ও কাঙ্গরঙ্গ ঝরনার উপর থাকা ছোট সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় আসা-যাওয়ার দুই মুখই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টা ধরে প্রবল তোড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়ার দফতর।