Cloudburst In Kishtwar: বিধ্বংসী হড়পা বানে কিশ্তওয়াড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬,খারাপ আবহাওয়ার শঙ্কা উপত্যকায়
ডিজিটাল ডেস্ক ১৫ই অগাস্টঃ উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালীর মতো বিপর্যয় জম্মু-কাশ্মীরেও। উপত্যকার কিশ্তওয়াড় জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে হড়পা বানের জেরে অনেক মৃত্যুর আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিসোতি জেলার মচৈল মাতা মন্দিরের যাত্রাপথে হড়পা বান নেমে আসে। কিস্তওয়ার জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬। মৃতদের মধ্যে ২ জন সিআইএসএফ জওয়ান রয়েছেন বলেও খবর মিলেছে। ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে ভারতীয় সেনা। বেশ কয়েকজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা সম্ভবও হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা যে বাড়তে পারে, তার আশঙ্কা রয়েছেই। এই বিপর্যয়ে আগেই ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করেছিল প্রশাসন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল আগেই সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়ে দাঁড়াল(Cloudburst In Kishtwar)।
কিস্তওয়ার থেকে ৯০ কিমি দূরে ৯,৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত চাসোটি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকেই সাড়ে ৯ কিমি হেঁটে যেতে হয় মন্দিরে। পুণ্যার্থীদের ওই স্থানে একটি অস্থায়ী লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিল, সেটি একেবারে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে। উধমপুর থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি টিম কিস্তওয়ার গেছে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে। ডাক্তার ও ওষুধপত্র নিয়ে মেডিক্যাল টিমও বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছেছে।
জেলার পাড্ডার চাসোটি এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে বিপর্যয়টি ঘটে। তখন সেখানে বিপুল সংখ্যার পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। সেখান থেকেই হেঁটে মন্দিরে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। হড়পা বানে স্থানীয় একটি লঙ্গরখানা ভেসে গেছে। যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও হিসাবের বাইরে।
সংবাদমাধ্যমের খবর আগেই ১৬৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল যাদের মধ্যে ৩৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হিমালয়ের অন্যতম তীর্থস্থান মা চণ্ডীর মন্দির মাচাইল মাতা যাত্রার সময়কালে এই বিপর্যয় ঘটে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিপদের সময়ে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন শাহ।
গত ৫ অগস্ট হর্ষিল উপত্যকায় ১২৬০০ ফুট উঁচু থেকে ঘণ্টায় ৪৩ কিলোমিটার গতিতে নেমে এসেছিল হড়পা বান। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে সৃষ্ট ভয়ানক সেই হড়পা বান ৩০ সেকেন্ডে ধরালী গ্রামের বেশির ভাগ গ্রাস করে নেয়। শুধু ধরালীই নয়, পাশের গ্রাম হর্ষিলের অনেকাংশই হড়পা বানের গ্রাসে চলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৩৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হিমালয়ের অন্যতম তীর্থস্থান মা চণ্ডীর মন্দির মাচাইল মাতা যাত্রার সময়কালে এই বিপর্যয় ঘটে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিপদের সময়ে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন শাহ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়ার, কুপওয়ারা, বারামুল্লা, বন্দিপুরা, শ্রীনগর, গান্ডেরবাল, বদগাঁও ছাড়াও পুঞ্চ, রাজৌরি, রিয়াসি, উধমপুর, জম্মু, ডোডায় আগামী কয়েক ঘণ্টা ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় আকাশ ভেঙে বৃষ্টিতে হড়পা বান ও ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং পরিস্থিতি যে খারাপের পথে তা অনুমান করাই যায়।