Congress-Trinamool: কাছাকাছি কংগ্রেস-তৃণমূল ? SIR,নির্বাচন কমিশনকে একযোগে আক্রমণ রাহুল-অভিষেকের !

62

ডিজিটাল ডেস্ক ৮ই অগাস্টঃ বিহার ভোট ইস্যু থেকে SIR বিতর্কে তপ্ত রাজনীতি। যার জেরে কি ইণ্ডিয়া জোট আরও কাছকাছি ? গত বেশ কয়েকদিন ধরেই লোকসভা থেকে রাজ্যসভা উত্তাল বিহারে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়াকে কেন্দ্র করে। এরই মধ্যে আবার বাংলায় এসআইআর হতে পারে,এমন সম্ভাবনা প্রবল রাজনৈতিক মহলের । সেই নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ কংগ্রেস সাংসদরা । শুক্রবারও দিল্লিতে সংসদের বাইরে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ করেছে বাংলার শাসক দল সহ বিরোধীরা । প্রতিবাদে সামিল ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও । উল্লেখ্য গতকালই বাংলা ভাষা নিয়ে বাংলার পাশেই দাড়িয়ে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনীকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক চুরি’ বলে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে এক তিরে বিঁধলেন রাহুল গান্ধী। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অ্যাটম ব্যোম ফাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি ‘প্রকৃত বাঙালিদের ভোটাধিকার কাড়তে চাইছে’, নির্বাচন কমিশন-বিজেপি আঁতাঁত দেখছেন অভিষেক (Congress-Trinamool)।

ঠিক আবহেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় INDIA জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছিল । সেই বৈঠকে বিরোধী জোটের সদস্যদের নিজের বাসভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই নৈশভোজ বৈঠকে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন লোকসভায় তৃণমূল পার্টির দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রসঙ্গত তৃণমূলের সাংসদরা আজও একজোট হয়ে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। শুধু তাই নয়, এর আসল অর্থ কী, সেটাও বোঝান। তৃণমূলের দাবি – এটি আসলে ‘সাইলেন্ট ইনভিজিবল রিগিং’ । এইভাবে বাংলা তথা বাঙালির ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলা-বাঙালিকে অপমান করা করছে নির্বাচন কমিশন । একই সঙ্গে, বাংলা ভাষার অপমানের অভিযোগ তুলেও সংসদের বাইরে সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। সামনের সারিতে দেখা যায়, মালা রায় থেকে শুরু করে, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব সহ প্রমুখদের। নতুন রাজনৈতিক কৌশল ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বাসভবনে নৈশভোজে একজোট হলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রায় ৫০ জন শীর্ষ নেতা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, সিপিআই (এম)-এর এমএ বেবি-সহ অন্যান্য দলের নেতারা।

ইতিমধ্যেই বিহারে SIR করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই কর্মসূচি শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে বলে প্রথম থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের একাধিক বিরোধী দল। সেই কারণেই SIR নিয়ে সংসদের দুই কক্ষে আলোচনার দাবি তুলে আসছে বিরোধীরা। SIR ইস্যুতে একজোট বিরোধী শিবির। বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনে কমবেশি ৬৫ লাখ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। এই ইস্যুতে বিতর্ক তুঙ্গে। তৃণমূলের বিক্ষোভে উঠেছে সেই প্রসঙ্গও। সংসদ চত্বরে এই সব ইস্যুতেই সরব হয় তৃণমূল। স্লোগান, পোস্টারে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে একযোগে আক্রমণ শানান সাংসদরা। তৃণমূলের স্পষ্ট দাবি, বাংলা ভাষাকে অপমান করা মানে জাতীয় সঙ্গীতের অপমান। আর জাতীয় সঙ্গীতের অপমান রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান।