ডিজিটাল ডেস্ক ১১ জুনঃ করোনা নিয়ে গোটা দেশবাসি বেশ চিন্তিত। প্রায় প্রত্যেকদিনই দেশে বেড়েই চলেছে করোনার প্রকোপ। কেউ না কেউই রোজই করোনার কবলে পড়ছে। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য সচেতন থাকলে এই রোগ এড়ানো যাবে সহজেই । এই অবস্থায় ফের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হলো করোনায় আক্রান্ত হন এক বৃদ্ধের। ৭৪ বছর বয়সি হাওড়ার আন্দুলের ওই বৃদ্ধকে সোমবার সন্ধেয় ভর্তি করা হয় ওই হাসপাতালে। ওই বৃদ্ধ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ছিল, পার্কিনসন রোগেও ভুগছিলেন বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই মৃত্যুর নেপথ্যে কোমর্বিডিটিই দায়ী এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা (Corona Death In Kolkata)
এ নিয়ে শহরে গত এক মাসে তিনজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হলো। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার কারণে একজনের মৃত্যুর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কতজনের নতুন করে করোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, সে বিষয়েও কেন্দ্রের সাইটে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারাও এ দিনের মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে ৭৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১২ জন। এই আক্রান্তদের মধ্যে বৃহত্তর কলকাতার বাসিন্দা ৪২৬ জন। শুধু কলকাতা পুরসভাতেই ৩৭০ জনের করোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। অর্থাৎ, রাজ্যে আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই কলকাতার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ শতাংশই প্রবীণ।
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভাকে বাড়তি সতর্ক নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। যদিও পুরসভার স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দীপক দাসের কথায়, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে মা-বাবার থেকেই শিশুর করোনা হচ্ছে।’ চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুর যদি খাবারে অরুচি দেখা যায় সঙ্গে জ্বর থাকে, তা হলে অবশ্যই করোনার টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। নতুন যে কোভিডের ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, সেটা ওমিক্রনেরই প্রজাতি। এটা ছড়ায় খুব দ্রুত। তবে প্রাণঘাতী নয়।