ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুন : এই মারণ রোগের কথা মাথায় আসতেই কেপে উঠছে গোটা ভারতবাসী। বিগত ২০-২১ সালের মতোই এবছরেও ক্রমশই চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড (Corona Update)।দেশে ইতিমধ্যেই মোট আক্রান্তের পেরিয়েছে ৪০০০ । বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ র কাছাকাছি। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন খাস কলকাতার ৪৩ বছর বয়সী এই মহিলা। প্রথমে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। উপসর্গ থাকায় করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপর থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। অবশেষে মৃত্যু হয় তাঁর। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছিল মহিলার। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেপটিক শকে চলে গিয়েছিলেন ওই রোগী।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৩৭২ জন করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সন্ধান মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। সোমবার একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলার এক মহিলা-সহ সারা দেশে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৭। অন্যদিকে, মঙ্গলবার গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪০২৬। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ জন। তবে একদিনে একসঙ্গে একাধিক কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু ভয় ধরাচ্ছে।
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে গুজরাটে। সেখানে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। অন্যদিকে, কেবল গুজরাটে বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৭২। এর পরেই একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে কর্নাটক। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৮ জনের শরীরে করোনার সন্ধান মিলেছে।
তবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিরিখে প্রথম স্থানে কেরালা। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪১৬ জন।এর পরই স্থান মহারাষ্ট্রের। মঙ্গলবার সে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৯৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট, চতুর্থ দিল্লি। সেখানে যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েক জন রোগী সেরে ওঠায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯৩। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে আমজনতাকে সচেতন করা হয়েছে। আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে বারবার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে , আগের মতো মারণ ক্ষমতা হারিয়েছে এই ভাইরাস। স্বস্তির খবর যদি নিজেরা সতর্ক থাকা যায় তবে এবার এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা বেশ সহজ হবে।