ডিজিটাল ডেস্ক ১৯শে জুলাইঃ ২১ শে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস ঘিরে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ২১ শে জুলাইয়ের কর্মসূচিকে ঘিরে শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ সেই আবহেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে চারিদিকের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা(CP On 21st july)। তিনি বলেন শুক্রবার হাইকোর্ট যে নির্দেশ দেয়, ওই দিন সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে শহরে যাতে কোনও যানজট না হয় (Kolkata Traffic Alert), তা নিশ্চিত করতে হবে। আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই এবার রাস্তায় কড়া ট্র্যাফিক বিধিনিষেধ আনছে লালবাজার (Kolkata Police )।
পুলিশ কমিশনার জানান গতকাল থেকেই বিধান নগর এবং ব্যারাকপুর যে সমস্ত বর্ডার এরিয়া রয়েছে সেখানকার অফিসারদের সঙ্গে মিটিং করছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান যে আজকে কলকাতা শহরে ঢোকার বা বেরনোর জেলার যে রাস্তাগুলো রয়েছে সেই জায়গাগুলোতেও কড়া নজরদারি চলছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। মনোজ ভার্মা শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, সোমবার (২১ জুলাই) ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যাত্রীবাহী গাড়ির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
যে রাস্তাগুলিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে:
আমহার্স্ট স্ট্রিট (উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী), বিধান সরণি (কেসি সেন স্ট্রিট থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত), কলেজ স্ট্রিট (দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী), ব্রাবোর্ন রোড (উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী), স্ট্র্যান্ড রোড (হেয়ার স্ট্রিট থেকে রাজা উডমন্ট স্ট্রিট পর্যন্ত), বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট (পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী), বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট (দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী), নিউ সিআইটি রোড (পশ্চিম থেকে পূর্বমুখী), রবীন্দ্র সরণি (বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজার স্ট্রিট পর্যন্ত)।
পণ্যবাহী গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা:
সোমবার ভোর ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এলপিজি, মাছ, মাংস ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়ি এই নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে।
পার্কিং নিষিদ্ধ:
২১ জুলাই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আশপাশে (যেমন: হেস্টিংস ক্রসিং, ক্যাথিড্রাল রোড, হসপিটাল রোড, লাভার্স লেন, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ) গাড়ি পার্কিং পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে।
মিছিল মুখী রাস্তায় কড়া নজরদারি:
ধর্মতলার দিকে যে রাস্তাগুলি দিয়ে মিছিল যাবে, সেখানে কোনও যানবাহন দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজন হলে সেই সব গাড়িকে বিকল্প রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও রাস্তায় বেশি ভিড় বা যানজট দেখা গেলে পাশের ছোট রাস্তাগুলি ব্যবহার করে গাড়ি ঘোরানো হবে।