ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ জুন : কলকাতার কসবা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার মুখ খুলল কেন্দ্র। রবিবার শহরের একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan On Kasba)। আরজি কর হাসপাতাল থেকে কসবার ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ তুলে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সকাল ৯টা নাগাদ পানিহাটিতে ‘মন কি বাত’-এর ১০৩তম পর্বে যোগ দেওয়ার পর নিউ টাউনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকদের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এক সময় যেখানে জ্ঞান, সংস্কৃতি আর নারী অগ্রগতির আলোকবর্তিকা ছিল পশ্চিমবঙ্গ, সেখানে আজ নারী নিরাপত্তা ঘিরে এক কলঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কসবার ঘটনায় যা ঘটেছে, তা নিছক অপরাধ নয়—এটা সমাজের বিবেককে কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা।”
কলকাতার কসবা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর তীব্রতর হচ্ছে। রবিবার রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই সরাসরি অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “রাজ্যের শাসকদল ও প্রশাসনের ছত্রছায়াতেই অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বারবার নির্যাতিতাদের পাশে না দাঁড়িয়ে যদি দলীয় স্বার্থে অপরাধ ঢাকতে হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠেই—এই পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে?”
শনিবার কসবা ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় লালবাজারে, যেখানে তিনি রাত কাটান। রবিবার তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “যদি শাসকদল নিজেই অপরাধীদের আশ্রয় দেয়, তাহলে সাধারণ নাগরিক কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবে? বাংলার মানুষ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই রুখে দাঁড়াবে। বিজেপি এই লড়াই এখানেই থামাবে না—বিধানসভায়ও এই ইস্যু জোরালোভাবে তোলা হবে। সরকারকে জবাব দিতেই হবে।”