DHUBRI : ফের উত্তেজনায় কাঁপছে ধুবড়ি। ধুবড়িতে নতুন করে উত্তেজনা। সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের এক বিশাল দলের আক্রমণের হাত থেকে বেঁচে গেল শহরের ১ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড। রাতের অন্ধকারে আক্রমণের ছক কষেছিল সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত শহরকে রক্ষা করে। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী দলটি।
ধুবড়িতে দিনরাত পাহারায় RAF, সেনা এবং পুলিশ বাহিনী। নিরাপত্তার ঘেরাটোপেও কতটা নিরাপদ ধুবড়ি শহর? রাত একটা নাগাদ হঠাৎ বাঁধের পার এলাকায় ধুন্ধুমার। ৮টি নৌকায় নদীর পারে এগিয়ে এল শ-পাঁচেক মানুষ। কুন্তীর চর থেকে ধুবড়িতে ঢোকার চেষ্টা সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের। শহরের ১ নং ওয়ার্ডের বাঁধের পারের দিকে এগিয়ে আসছিল দলটি।
নদীর বুকে নৌকায় মোবাইল ফোনের আলো নজরে পড়ে অনেকের। সঙ্গে সঙ্গে ঘর ছেড়ে বাইরে আসেন অসংখ্য মানুষ। দৃশ্যটি দেখে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, পাঁচ-ছয়শো দুষ্কৃতী এসেছিল ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়।
কয়েকদিন থেকেই ধুবড়িতে নানা কারণে উত্তেজনা। ঘটনাটি নজরে পড়তেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ছুটে আসে ধুবড়ি সদর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নেতৃত্বে ছিলেন ধুবড়ি সদর থানার ওসি টি বোরো। পুলিশ নদীর অন্যপারে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যায়। দেখা যায় নদীর অন্যপারে রীতিমতো খানা-পিনার আয়োজন হয়েছিল। আয়োজন দেখে বোঝা যায়, বহু মানুষ একসঙ্গে খেতে বসেছিল। রাতের খাবার খেয়ে দলবদ্ধ দুষ্কৃতীরা নৌকায় চেপেছিল। ধারালো অস্ত্ৰ নিয়ে ৮টি নৌকায় শহর আক্ৰমণে এসেছিল দুষ্কৃতীরা।
চর এলাকায় রাতের অন্ধকারে অস্বাভাবিকতা নজরে পড়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি এসেও বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তিনি প্রথমে বলেন, সম্ভবত বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে।
নদীর পার থেকে নৌকার দিকে জোরালো টৰ্চ ফেলা হলে দিক পাল্টে উল্টো দিকে পাড়ি দেয় ৮টি নৌকা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নৌকায় আসা দুষ্কৃতীরা। তবে, তারা কোথায় চলে গেছে এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বাঁধের পারের ব্যবসায়ী আজিম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে, ধৃত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এখনও তেমন উল্লেখযোগ্য তথ্য মেলেনি। এদিনের ঘটনাটি ফের ধুবড়িকে অশান্ত করে তুলেছে।