Dilip Ghosh:অভিমানী দিলিপ নাকি সতর্ক ! দলে ব্রাত্য ঘোষবাবুর তৃণমূল যোগ জল্পনা ?

15

ডিজিটাল ডেস্ক ৪ঠা জুলাইঃ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব যে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। মোদি,শাহের সভা তো দূর-অস্ত,নয়া রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের বরণের অনুষ্ঠানেও নাকি ডাক পাননি তিনি। তবে দলের সঙ্গে দূরত্ব অনেক আগেই বেড়ে গিয়েছিল দিলিপ ঘোষের। নানান সময়ে গুঞ্জন উঠে এসেছে বঙ্গে এই দলে বিভিন্ন লবির কথাও। কিন্তু সেসব কথা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও বারংবার প্রকট হয়েছে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে। দিলীপ ঘোষ মানেই তো চমক। নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণে যাওয়া অভ্যেস দিলীপ ঘোষের, শুক্রবারও তার অন্যথা হয়নি। এদিন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ সারেন তিনি। সেখানেই মুখ খোলেন তৃণমূলে যোগ প্রসঙ্গে। বললেন, “আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পার্টি ঠিক করবে। ভগবানের খাতায় লেখা আছে। আমাকে বিজেপি নিয়ে এসে একটা জায়গা দিয়েছিল। আমি নিজে থেকে আসিনি। পার্টি চেয়েছে তাই আমি এসেছি(Dilip Ghosh)।

যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে,যা পরিস্থিতি তাতে ফুল বদলে তৃণমূলে চলে যাবেন না তো দাবাং বিজেপি নেতা? জবাবে দিলীপ নিজেই উসকে দিলেন জল্পনা। বললেন, “রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পার্টি ঠিক করবে, ভগবানের খাতায় সব লেখা আছে।” পার্টি আমাকে রাজ্য সভাপতি করেছে, বিধায়ক করেছে, সাংসদ করেছে, জাতীয় নেতা করেছে। আমি নিজে থেকে কিছু চাইনি। পার্টি আমাকে গাড়ি দিয়েছে, সিকিউরিটি দিয়েছে। আমি নিজে এগুলোর কোনওটাই চাইনি। পার্টি যদি মনে করে আমি এখন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করব, তাহলে তাই করব।” এরপরই তিনি বলেন, “আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাই না।” অর্থাৎ অভিমান যে একরাশ জমেছে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দিলীপ।

দলের সঙ্গে দূরত্ব ও দিলীপ ঘোষের সস্ত্রীক জগন্নাথ মন্দির দর্শন নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এদিন আবারও সেবিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ। বললেন, “আমাকে মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছিলেন। আমি একজন সম্মানীয় নাগরিক। সেই হিসেবে গিয়েছি। সরকারি প্রকল্প। কিন্তু আমি মনে করি, ওই মন্দির তৈরিতে আমার ট্যাক্সের টাকা আছে। এটা কারুর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বহু লোক আমাকে ডাকে।” পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের কারও সঙ্গেই যে তার কোনওরকম সমস্যা নেই, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।