ডিজিটাল ডেস্ক ৯ই অগাস্টঃ সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা। এবার তাঁদের সুরেই সুর মেলালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিবিআই তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘যখন এমন জঘন্য অপরাধে সুবিচার মিলবে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ঘিরে প্রশ্ন উঠবে। আদালতের মাধ্যমে নতুন করে নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু হওয়া উচিত। অনেক তথ্য উপেক্ষিত হয়েছে। যারা তদন্ত করেছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।’ শনিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখন এমন জঘন্য অপরাধে সুবিচার মিলবে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে ঘিরে প্রশ্ন উঠবে। আদালতের মাধ্যমে নতুন করে নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু হওয়া উচিত(Dilip Ghosh)। অনেক তথ্য উপেক্ষিত হয়েছে। যারা তদন্ত করেছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।”
আরজি করের ঘটনার সুবিচার না হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। আরজি করের ঘটনার আন্দোলন প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ কড়া ভাষায় শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘নির্যাতিনের বাবা-মা এখনও বিচার পাননি। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস-এই মামলায় সুবিচার হয়নি বলেই তারা রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু শাসক দল এই ঘটনা চেপে দিতে চায়। সরকার এই আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে বলেই এত কড়াকড়ি।’ নবান্ন অভিযানে কড়া নিরাপত্তা ঘিরে দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘এই আন্দোলন এখন আর কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা জনআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। কতজন মানুষ রাস্তায় নামবেন, তা আন্দাজ করতে পারছে না সরকার। তাই ভয়ের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল সরকার।’
রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও সরব হন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হলেই মামলা দিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে সরকার। সরকার যখন চাপে পড়ে, তখন ইমেজ রক্ষায় নানা চাপ সৃষ্টি করে। ডাক্তারদের সাসপেন্ড বা ট্রান্সফার করে বশে আনার চেষ্টা হয়েছে। এটা সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ আগস্ট নাইট শিফটে গিয়েছিলেন আর জি করের তরুণী চিকিৎসক। আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তে নেমে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সিবিআই সঞ্জয় ছাড়া কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আর তার জেরেই প্রশ্নের মুখে সিবিআই।