Dilip Ghosh: কলকাতায় অমিত শাহ, জামাইষষ্ঠীতে সস্ত্রীক শ্বশুরবাড়িতে দিলীপ ঘোষ
ডিজিটাল ডেস্ক, ১ জুন: রাজনীতিতে এক সময় ছিলেন আপসহীন সৈনিক। আজ রাজনীতির উত্তাপ কিছুটা পেছনে রেখে সংসার জীবনের দায়িত্বে মন দিয়েছেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ [Dilip Ghosh]। অমিত শাহ [Amit Shah] যখন কলকাতায় রাজনৈতিক মঞ্চে বিজেপির ভবিষ্যৎ রণকৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত, তখন দিলীপ উপস্থিত শ্বশুরবাড়িতে, প্রথম জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার এবং মা।

রবিবার রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে জামাইষষ্ঠী। সদ্যবিবাহিত দিলীপ ঘোষের জীবনে এটাই প্রথম জামাইষষ্ঠী। দুপুরে বাইপাস লাগোয়া মুকুন্দপুরে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে স্ত্রী রিঙ্কু ও মা। শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা আবেগভরে তাঁদের স্বাগত জানান। স্ত্রীকে নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে সময় কাটালেন দিলীপ—রাজনীতি থেকে খানিক দূরে, একান্ত পারিবারিক মুহূর্তে।
দিলীপ ও রিঙ্কুর বিয়ে হয় ১৮ এপ্রিল। তার কিছুদিন পরই ঘনিয়ে আসে বড় ধাক্কা—রিঙ্কুর আগের পক্ষের সন্তান সৃঞ্জয় (প্রীতম)-এর রহস্যমৃত্যু। সেই কঠিন সময়ে স্ত্রীর পাশে অটল হয়ে দাঁড়ান দিলীপ। সন্তানের শোকে বিধ্বস্ত রিঙ্কুকে সামলান, মায়ের মতোই রক্ষা করেন। সম্প্রতি ত্রিপুরায় মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে স্ত্রীর জীবনে শান্তি কামনা করে প্রার্থনাও করেন তিনি।
তবে দিলীপ নিজে কতটা শান্তিতে আছেন, সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য রাজনীতির একসময়কার অন্যতম মুখ তিনি—তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের পুরোধা। অথচ এখন রাজ্য ও জাতীয় নেতৃত্বের বড় সভাগুলিতে তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলিপুরদুয়ার সফরে যেমন, তেমনি অমিত শাহের সাম্প্রতিক কলকাতা সফরেও তাঁর দেখা মেলেনি।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ অবশ্য নিজস্ব ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বলেন, “বড় নেতাদের পিছনে পিছনে ঘোরার অভ্যেস নেই। কেউ ডাকলে যাই, না ডাকলে যাই না। আমি বিজেপির সাধারণ কর্মী, সেভাবেই থাকি।”
তবে রাজনীতির আলো-আড়াল যাই হোক, জামাইষষ্ঠীর দিনটিতে একেবারেই পারিবারিক মানুষ হিসেবে দেখা গেল তাঁকে—স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে, প্রথা মেনে পালন করলেন গৃহস্থের দায়িত্ব। আপাতত রাজনীতির বাইরে, সংসার-ধর্মেই যেন মন দিলেন দিলীপ ঘোষ।