Dilip-Nadda:দিলীপ-নাড্ডা সাক্ষাতে,বঙ্গ বিজেপিতে নয়া সমীকরণ ?

29

ডিজিটাল ডেস্ক ১৯শে জুলাইঃ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় না পেয়ে,শুক্রবার দিলীপ ঘোষ সটান হাজির হলেন দিল্লিতে জগৎপ্রকাশ নাড্ডার বাড়িতে! দলীয় পদ হারানোর পর থেকে রাজ্য বিজেপির সভা-সমাবেশে কার্যত অদৃশ্য ছিলেন দিলীপ ঘোষ। নিজেই কিছুদিন আগে অভিযোগ করেছিলেন, কোনও বৈঠকে ডাকা তো দূর, এমনকী বসার জন্য চেয়ারও নাকি দেওয়া হতো না তাঁকে। অথচ, বিজেপির একদা দাপুটে এই রাজ্য সভাপতি সম্প্রতি যেন একটু নড়েচড়ে বসেছেন। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দিলীপকে কিছুটা বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা কিছু কম হয়নি(Dilip-Nadda)।

এ দিন দুপুরে মোদী যখন বাং‍লার মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করছেন, প্রায় সেই সময়েই দিল্লিতে নাড্ডার বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দিলীপ আক্রমণ করলেন অন্য দল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের একাংশকে।

সূত্রের দাবি,এ দিন বিকেলে মিনিট চল্লিশ কথা হয় নাড্ডা–দিলীপের। তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে,তা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দিলীপ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে শুধু বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক গল্প হয়েছে।’

গত এপ্রিলের শেষ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন স্বস্ত্রিক দিলীপ ঘোষ,যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। বস্তুত এর পর থেকেই দিলীপের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়তে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডাক পাননি দিলীপ। যদিও শমীকের মধ্যস্থতায় বরফ কিছুটা হলেও গলতে শুরু করেছিল।

দিলীপও নিজে থেকেই ঘোষণা করেছিলেন যে,শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় তিনি হাজির থাকবেন। এও জানিয়েছিলেন, দলীয় নেতৃত্বের তরফে আমন্ত্রণ না পেলেও দুর্গাপুরের স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে আমন্ত্রণ করেছেন।

তাই তিনি সেখানে যাবেন। মঞ্চে জায়গা না পেলে কর্মীদের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার কথাও শো‍না গিয়েছিল দিলীপের মুখে। কিন্তু মোদীর সভার আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। জানান যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভা শুনতে গেলে পার্টি বিড়ম্বনায় পড়তে পারে। তাই তিনি যাবেন না সেখানে।

মাস দুয়েক আগে আলিপুরদুয়ারে জনসভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও ডাক পাননি দিলীপ। সে বার ঘরে বসে টিভিতে মোদীর ভাষণ শুনেছিলেন তিনি। টিভিতে নমোর ভাষণ শোনার ছবিও তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন নিজেই।

রাজ্য বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতার কথায়,দুজনের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছে,তার ইঙ্গিত আগামীতে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। দিলীপ ঘোষের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবন কোন খাতে বইবে, তার রূপরেখা এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়ে গিয়েছে।’

১৮ জুলাই মোদীর সভায় দেখা গেল না দিলীপকে। ২১ জুলাই কী হবে? দিলীপ নিজে বলেছিলেন,ওই দিন তিনি কোনও একটা সভায় চমক দিতে চলেছেন। নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরে আগামী তিন দিনে জল কোন দিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।