ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুলাই : মাত্র ২৮ বছর বয়সে ট্র্যাজিকভাবে প্রাণ হারালেন লিভারপুলের তারকা ফুটবলার দিয়োগো জোটা (Diogo Jota Death)। বৃহস্পতিবার স্পেনের জামোরা শহরে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন দিয়োগো এবং তাঁর ভাই। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি, এবং তাঁর রয়েছে তিন সন্তান। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা ফুটবল দুনিয়া।
স্থানীয় প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, দিয়োগো এবং তাঁর ভাই অ্যান্ড্রু একটি সুপারকারে যাত্রা করছিলেন, যখন একটি গাড়িকে ওভারটেক করার চেষ্টার সময় হঠাৎই গাড়ির একটি চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যেই দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়, ফলে গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই স্পেনের এমার্জেন্সি সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পরে তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দিয়োগো ও অ্যান্ড্রুকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
দিয়োগো জোটার আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক নেমে এসেছে পর্তুগিজ ফুটবল মহলে। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো প্রোয়েঙ্কা এক বিবৃতিতে শোকপ্রকাশ করেছেন। দিয়োগোর ক্লাব লিভারপুল এবং অ্যান্ড্রুর ক্লাব এফসি পেনাফিলও তাদের হৃদয়বিদারক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এদিকে, পর্তুগিজ ফেডারেশন ইউয়েফার কাছে আবেদন জানিয়েছে—বৃহস্পতিবারের মহিলাদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ শুরুর আগে যেন এক মিনিট নীরবতা পালন করে প্রয়াত তারকাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পর্তুগালের পোর্তো শহরে জন্ম দিয়োগো ও অ্যান্ড্রুর। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল দিয়োগোর, আর সেই থেকেই শুরু হয় তাঁর পেশাদার ফুটবল যাত্রা। ২০১৬ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে কেরিয়ারের সূচনা করেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সে যোগ দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পা রাখেন। সেখান থেকে তাঁর স্থান হয় লিভারপুলের মতো বড় ক্লাবে। সদ্যসমাপ্ত নেশনস লিগে পর্তুগালের জাতীয় দলের স্কোয়াডেও জায়গা পেয়েছিলেন দিয়োগো।