Donald Trump Imposes Tariff : আশঙ্কা সত্যি করে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প!

73

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩০ জুলাই : ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানান, “ভারত আমাদের বন্ধু হলেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে। ট্রাম্পের যুক্তি, ভারত রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল ও অস্ত্র আমদানি করে, আর সেটাই এই শুল্ক আরোপের মূল কারণ। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে (Donald Trump Imposes Tariff)।

বুধবার ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, “ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, মনে রাখতে হবে যে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনও অনেক কম। এর প্রধান কারণ, ভারতের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি। তাছাড়া, ভারত যুদ্ধাস্ত্রের একটি বড় অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে। রাশিয়ার শক্তি সম্পদের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা হল ভারত ও চিন— বিশেষত এমন সময়ে, যখন গোটা বিশ্ব রাশিয়াকে ইউক্রেনে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। তাই এবার ভারতকে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্যও তাদের খেসারত দিতে হবে। নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য আমেরিকা ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তবে নানা জটিলতায় এখনও পর্যন্ত সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। এই প্রেক্ষিতে ভারতের উপরে শুল্ক চাপানো হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “হ্যাঁ, এমনটা হওয়া খুবই সম্ভব।”

তিনি আরও জানান, “ভারত আমাদের খুব ভালো বন্ধু। তবে বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় তারা সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করে থাকে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। তাই আমেরিকাও ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে।”

হুঁশিয়ারি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের উপর শুল্কের বোঝা চাপালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবেই ভারতকে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে।

সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন করতে আগামী ২৫ আগস্ট দিল্লি সফরে আসার কথা ছিল মার্কিন প্রতিনিধিদলের। এর আগেই ওয়াশিংটনে আলোচনায় গিয়েছিলেন ভারতের প্রতিনিধিরাও। এমনকি ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত।” কিন্তু এই নতুন শুল্ক ঘোষণা সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠছে— আদৌ কি এখন ভারতের সঙ্গে সেই বাণিজ্যচুক্তি বাস্তবায়িত হবে? ভারতের সঙ্গে আমেরিকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক কোন পথে এগোবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।