East Bengal Durand Derby Win : ডুরান্ড ডার্বির রং লাল হলুদ, দিয়ামান্তাকোসের জোড়া গোলে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

50

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৭ অগাস্ট : মাঠে যেন হারিয়েই গিয়েছিল মোহনবাগান! গোটা ম্যাচে ছায়া হয়ে থাকল সবুজ-মেরুন শিবির। বিপরীতে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে যোগ্য জয় তুলে নিল লাল-হলুদ (East Bengal Durand Derby Win)। দেড় বছর পর ফের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হার মোহনবাগানের। ডার্বির মঞ্চে জোড়া গোল করে নায়ক দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস। ২-১ ব্যবধানে জিতে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পা রাখল ইস্টবেঙ্গল। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলারই আর এক দল—ডায়মন্ড হারবার।

রবিবার ম্যাচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল নিজেদের ছন্দে খেলতে শুরু করে। শুরুতেই খেলায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে নেয় ব্রুজ়োর দল। এক চালে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনার দলের উপর চাপ বাড়িয়ে দেন তিনি। ব্রুজ়ো বুঝেছিলেন, মাঝমাঠের দখল নিলে ম্যাচের মোড় ঘুরে দেওয়া যাবে—আর সেই অনুযায়ীই ছক কষে মাঠে নামেন লাল-হলুদের ফুটবলাররা।

মহেশ নাওরেম সিংহ, মিগুয়েল, সাউল ক্রেসপো—তিনজনই কাছাকাছি পজিশনে থেকে ছোট ছোট পাসে খেলা গড়ে তুলছিলেন। তাদের মধ্যে বোঝাপড়াও ছিল দুর্দান্ত। সেই জায়গাতেই সমস্যায় পড়ে মোহনবাগান। আপুইয়া, অনিরুদ্ধ থাপা, সাহালরা মাঝমাঠে একে অপরের থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ফলে বল ধরে সংগঠিত আক্রমণে উঠতে পারছিল না সবুজ-মেরুন।

প্রথম ২০ মিনিট পুরোপুরি দখলে ছিল ইস্টবেঙ্গলের। এই সময়ের মধ্যেই দু’বার ভয়ঙ্কর চাপ তৈরি হয়েছিল মোহনবাগান গোলমুখে, যদিও তখনও স্কোরলাইন খুলতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির।

২৬ মিনিটে মোহনবাগানের টম ওলড্রেড ফাউল করেন ইস্টবেঙ্গলের দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসকে। resulting ফ্রি-কিকে মিগুয়েলের শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

এর ঠিক ১০ মিনিট পর, ৩৬ মিনিটে, বক্সের মধ্যে বিপিন সিংকে ফাউল করেন আশিস রাই। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ এগিয়ে দেন দিয়ামান্তাকোস। এই ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় ব্রুজ়োর দল।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে আসে তাদের দ্বিতীয় গোল। মহেশ নাওরেমের পাস থেকে বক্সে বল পান দিয়ামান্তাকোস। বাঁ পায়ের শটে বল মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আলবের্তোর গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে ঢুকে পড়ে। গোল উদযাপনে জার্সি খুলে ফেলায় হলুদ কার্ড দেখতে হয় এই গ্রিক স্ট্রাইকারকে।

তবে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। ৬৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে ব্যবধান কমান অনিরুদ্ধ থাপা। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর শট সোজা জালে ঠাঁই পায়। এরপর ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে মেরিনার্স। একের পর এক আক্রমণে কাঁপিয়ে তোলে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল আর পাওয়া গেল না।

শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল।

দিনের আর এক কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুর এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি।