ECI Summons Chief Secretary : সংঘাত আরও বাড়ছে? মুখ্য সচিবকে দিল্লিতে তলব করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন! কাল বিকেল ৫টার মধ্যে হাজিরার নির্দেশ

56

ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ অগাস্ট : চারজন নির্বাচনী অফিসার-সহ মোট পাঁচজনকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। তবে সেই নির্দেশ পুরোপুরি কার্যকর না করে, রাজ্য সরকার তাঁদের শুধুমাত্র নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়, যা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। এবার সেই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে রাজ্য সরকারকে জবাবদিহির মুখে ফেলেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (ECI Summons Chief Secretary)।

সূত্রের খবর, এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, আগামীকাল (বুধবার) বিকেল পাঁচটার মধ্যে মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে কমিশনের সামনে হাজির হতে হবে।

দেশজুড়ে চলছে এসআইআর বা নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। এই প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্ব ও দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে রাজ্যের চারজন নির্বাচনী কর্মী এবং এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁদের সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের কথাও জানায়।

তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রকাশ্য সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও কর্মীকেই সাসপেন্ড করা হবে না। ভোট ঘোষণার আগেই কমিশনের এই পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এরপর কমিশন রাজ্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যেও রাজ্য প্রশাসন অভিযুক্তদের বরখাস্ত না করে শুধুমাত্র নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। এই সিদ্ধান্তকে নির্দেশ লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন। ফলে এবার আরও কঠোর পদক্ষেপে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তলব করা হয়েছে। কমিশনের তরফে পাঠানো নোটিসে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে কমিশনের সামনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে—কেন কমিশনের নির্দেশ মানা হয়নি।

নির্বাচন কমিশনের মতে, এটি শুধু একটি নির্দেশ উপেক্ষা নয়, বরং একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদার বিষয়।

এই ঘটনার জেরে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকরা। এখন দেখার বিষয়, মুখ্যসচিব সরাসরি দিল্লিতে গিয়ে কমিশনের মুখোমুখি হন, নাকি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বিকল্প পদক্ষেপ নেওয়া হয়।