Ecopark Arrest Fake Identity : ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে ইকোপার্ক থেকে গ্রেফতার যুবক

18

ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ জুন : অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নকল পরিচয়পত্র তৈরির জাল বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে! এবার ইকোপার্ক এলাকায় গ্রেফতার হল এক যুবক, যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়া পরিচয়পত্র বানানোর অভিযোগ উঠেছে। পানিহাটি থেকে গ্রেফতার হওয়া তিন অনুপ্রবেশকারীকে জেরা করার পরই এই অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া যায় (Ecopark Arrest Fake Identity)।

ধৃতের নাম মহম্মদ জিয়াউদ্দিন মণ্ডল, যিনি ইকোপার্ক থানার অন্তর্গত ঘুনি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। রহড়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে এবং রবিবার বারাকপুর আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে তিনজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যাদের জেরা করে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তদন্তে জানা গেছে, মোটা টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারীদের জাল পরিচয়পত্র তৈরি করতেন জিয়াউদ্দিন। পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির সঙ্গে তার কোনও সংযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রে আরও কারা জড়িত তা নিয়েও তদন্ত চলছে। প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়েও সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন তদন্তকারীরা।

পানিহাটির একটি ফ্ল্যাট থেকে বাংলাদেশি এক মহিলাকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত অদিতি ওরফে প্রিয়ার আগে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যাদের পরিচয় তার ভাইবোন হিসেবে জানা গেছে। প্রথমে অদিতি, তারপর তার ভাই আবু ও বোন আসমা অবৈধভাবে এদেশে প্রবেশ করেছিলেন কর্মসংস্থানের সন্ধানে।

জানা গেছে, ধৃত অদিতি ওরফে প্রিয়া বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। প্রথমে ফেসবুকে কেষ্টপুরের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তার, যার সূত্র ধরে ২০১৯ সালে যশোর হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। প্রথমে কেষ্টপুরে আশ্রয় নেয় এবং পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস শুরু করে। সেই ঠিকানায় জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরি করে, যার ফলে প্রিয়া খাতুন হয়ে যায় অদিতি পাত্র। এরপর স্থায়ীভাবে ভারতে থাকার ব্যবস্থা করে নেয়। তদন্তে উঠে এসেছে, এই কাজে জিয়াউদ্দিন তাকে সহায়তা করেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।