Election In Bangladesh:ওপার বাংলার নির্বাচন চাপানুতর অব্যহত , ২০২৬ এর এপ্রিলে ?
ডিজিটাল ডেস্ক ১৬জুনঃ দিন কয়েক আগেও বাংলাদেশে প্রবল চাপে পড়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। চাপ বাড়াতে থাকে বিএনপিও। এর মধ্যেই ইউনূসের পদত্যাগের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। পরে অবশ্য,সব জল্পনায় যবনিকা টেনে থেকে যান মহম্মদ ইউনূস । এরপরই ইউনূস ঘোষণা করেন,২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভোট হবে বাংলাদেশে। এর আগে নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি বিএনপি। সেই নিয়ে চাপানুতর চলছিলই। সেই আবহেই ব্রিটেনে খালেদা-পুত্র তারেকের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউনূস (Election In Bangladesh)।
লন্ডনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা নাগাদ তারেক-ইউনূসের বৈঠক শুরু হয়েছিল। তা চলেছে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউনূস এবং তারেকের বৈঠক হয়েছে অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে রমজানের আগে ভোট করানোর প্রস্তাব দেন তারেক। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ারও তেমনই ইচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও চান ২০২৬ সালের রমজানের আগে নির্বাচন হ লে তা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান শুরু হতে পারে ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে । সেই হিসেবে রমজানের আগের সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজন করতে চাইলে ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।ইউনূস জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে রমজান মাসের আগের সপ্তাহে নির্বাচনের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং বিচারের পর্যাপ্ত অগ্রগতি প্রয়োজন। ইউনূসের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক।
কিন্তু এক্ষেত্রে বাধ সেধে বসল বিএনপি। এপ্রিলে নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি মূলত তিনটি কারণ তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, এপ্রিল মাসের আবহাওয়া নির্বাচনের অনুকূল নয়। সে সময়ে যেমন গরম বেশি থাকে, তেমন নিম্নচাপ এবং ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কাও থাকে। এ ছাড়া, ভোটের জন্য যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা রমজান মাসের পরপরই। ফলে রোজার মধ্যে নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে। যাতে রাজনৈতিক দলগুলির সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে একাধিক পরীক্ষা চলে। সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে বলা হচ্ছে বিএনপি-র তরফে। এনিয়ে ওপার বাংলার রাজনৈতিক তরজা বেশ চরমে।