Fake Passport News:ভুয়ো ভোটারের নথিতে এবার সংযোজন পাসপোর্ট!

4

ডিজিটাল ডেস্ক ৯ জুনঃ ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের দামামা এই পশ্চিমবঙ্গে বেজেই ছিল ভুয়ো ভোটার বা ভুতুরে ভোটার নিয়েই শুরু হয়েছিল। বারংবার রাজ্যের শাসকদল থেকে শুরু করে ইণ্ডিয়া জোটের বেশিরভাগ শরিকের একই বক্তব্য থেকেছে। শুধু যে বাংলায় বিধানসভা ভোট আসার আগেই এই সুর উঠেছে তা নয়। এই সুরের গান শোনা যাচ্ছিল দিল্লি , মুম্বাই বিধানসভার সময় থেকেই। এবার ভুয়ো নথি দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরির চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উত্তর ২৪ পরগণার বিরাটির বাসিন্দা আজ়াদ মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তে উঠে আসে,পশ্চিমবঙ্গের দুজাগায় ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও আদতে তিনি পাকিস্তানের নাগরিক ছিল বলে জানা গেছিল। আজ়াদের সূত্র ধরেই এ বার ইডির নজরে অন্তত আরও ৩০ জন। সূত্রের খবর, এই ৩০ জনের নামের তালিকা ইডির তরফে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। তাঁর কাছ থেকে তদন্তকারীদের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই সন্দেহভাজনরা ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য কী কী নথি জমা দিয়েছিলেন?সেই নথিগুলির বিস্তারিত তথ্যও চাওয়া হয়েছে। পাসপোর্ট র‍্যাকেটের মাধ্যমে পাকিস্তান, বাংলাদেশে বেআইনি ভাবে আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে এই সন্দেহভাজনদের যোগ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা(Fake Passport News)।

ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের সন্দেহ, এঁরা কেউই ভারতীয় নন। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য তাঁরা বার্থ সার্টিফিকেট সহ যে সব নথি জমা দিয়েছেন, সেই সবগুলিই ভুয়ো। তবে নির্বাচন কমিশন কি এই সংক্রান্ত তথ্য এখন খুঁজে পাবে বা সেগুলি যাচাই করতে পারবে? কমিশনের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য,২০২১ বা তার পরবরর্তী কালে এই সন্দেহভাজনদের নাম ভোটার তালিকায় উঠে থাকলে নথি পাওয়া যাবে। তা এখন ডিজিটালি সংরক্ষিত রয়েছে।দাখিল করা কাগজ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার আগে ভোটার তালিকায় যদি এঁদের নাম উঠে থাকে, তা হলে কোন নথির ভিত্তিতে নাম উঠল, তা বলা কঠিন। সে ক্ষেত্রে ফিল্ড সার্ভে করে তথ্য যাচাই করে রিপোর্ট জোগাড় করতে হবে।

কেন্দ্রিয় সুত্রে জানা গিয়েছে, তারা যে তালিকা পাঠিয়েছে, সেখানে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের ভোটার লিস্টে নাম থাকা ব্যক্তিরাই রয়েছেন। ইডি জানতে চেয়েছে, আবেদনকারী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাঙ্ক পাসবই, পাসপোর্ট, না অন্য কোনও নথি জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের বাবা বা মায়ের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে কি না। বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবেই বা কী নথি পেশ করা হয়েছিল?কমিশন সূত্রের খবর, শুধু ইডি নয়, ভোটার তালিকায় সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম থাকা নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে গড়ে অন্তত তিনটি করে চিঠি আসছে ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে।

কমিশনের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা–সহ সীমান্তবর্তী জেলা ও কলকাতার ঠিকানায় রয়েছে এই এপিকগুলি।রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের বক্তব্য, ‘গত এক মাসে অন্তত একশোটিরও বেশি চিঠি এসেছে এফআরআরও থেকে। সব সরেজমিনে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট জেলার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রায় সব কটি রিপোর্টেই স্বীকার করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আসলে বাংলাদেশি নাগরিক। সেই সব নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’