Fathers Name Birth Certificate : ডিভোর্স হলেও সন্তানের জন্ম শংসাপত্রে থাকতেই হবে বাবার নাম!

51

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ অগাস্ট : জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্রে ইচ্ছেমতো কোনও পরিবর্তন করা যাবে না— স্পষ্ট জানিয়ে কঠোর নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নাম বা অন্য কোনও তথ্য বদলানোর অধিকার একমাত্র রেজিস্ট্রারেরই থাকবে। তিনি প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তবেই সংশোধনের অনুমতি দেবেন (Fathers Name Birth Certificate)। রেজিস্ট্রারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মানা হবে। অর্থাৎ, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ইচ্ছায় জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্রে কোনও সংশোধন করা যাবে না।

নতুন নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য দপ্তর স্পষ্ট জানিয়েছে, জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্রে শুধুমাত্র টাইপোগ্রাফিকাল ভুল থাকলেই তা সংশোধনের সুযোগ থাকবে। যেমন, নামের বানানে ভুল, জন্ম তারিখ বা জন্মস্থানে সামান্য বিভ্রান্তি থাকলে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে সংশোধনের আবেদন করা যাবে। তবে এর বাইরে কোনও তথ্য পরিবর্তন করার অনুমতি দেওয়া হবে না। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তান থাকে, তাহলে শিশুর জন্ম শংসাপত্র থেকে বাবার নাম মুছে ফেলা যাবে না। এমনকি, মা যদি পুনরায় বিয়ে করেন, তাহলেও শিশুর জন্ম শংসাপত্রে নতুন স্বামীর নাম বাবা হিসেবে যুক্ত করা যাবে না। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, শিশুর ভবিষ্যৎ— বিশেষ করে স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া— জটিল না করতেই এই কড়াকড়ি। বাবা হিসাবে একবার যাঁর নাম রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত হয়েছে, তা কোনও অবস্থাতেই পরিবর্তনযোগ্য নয়।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ১৯৬৯ অনুযায়ী, কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোনওভাবেই জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্রে পরিবর্তন করা যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে— জন্মতারিখ, বাবার নাম, পুরো নামের বদল বা এমন কোনও পরিবর্তন, যা ভবিষ্যতে আইনি জটিলতার কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, দেশের সমস্ত রেজিস্ট্রারদের জানানো হয়েছে— কেউ যদি জন্মস্থান বা জন্মতারিখ পরিবর্তনের আবেদন করেন, তা কোনও অবস্থাতেই গ্রহণ করা যাবে না।

নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও প্যান কার্ডের কপি জমা দিতে হবে। আর পদবি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফিডেভিট করানো বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় প্রাপ্ত সার্টিফিকেটও জমা দিতে হবে।এই নিয়মের উদ্দেশ্য হল সরকারি নথিপত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং যেকোনও ধরনের জালিয়াতি বা বিভ্রান্তি প্রতিরোধ করা।