Government Officers Suspended: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ বুড়ি ছোঁয়া করল রাজ্য সরকার !৪ আধিকারিক সাসপেন্ড

62

ডিজিটাল ডেস্ক ২২শে অগাস্টঃ ভেঙে গিয়েও মচকালো না রাজ্য সরকার। নির্বাচন কমিশনের (ECI) নির্দেশ পালনের সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক আগে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগে ৪ আধিকারিককে আপাতত সাসপেন্ড করল নবান্ন (Nabanna)। নির্বাচন কমিশন বললেও তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়নি। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ডিপি (ডিপার্টমেল্টাল প্রসিডিং) করবেন মুখ্যসচিব(Government Officers Suspended)।

গত ৫ অগাস্ট ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে বারুইপুর ও ময়নার দুই নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক (ERO) ও দুই সহকারি নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক (AERO) কে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও হিসেবে কাজ করছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ওই দুই দায়িত্বে ছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। তাঁদের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এসআইআর নিয়ে সংঘাতের আবহে প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের নির্দেশ পালন করতে সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার সর্বোতভাবে আধিকারিকদের পাশে রয়েছে। কিন্তু পরে তাঁদের মধ্যে দু’জন যথাক্রমে বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার ও ময়নার এইআরও সুদীপ্ত দাসকে নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেকথা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। অফিসারদের সাসপেন্ড করে এফআইআর না করার কারণ হিসেবে বলা হয় এতে আধিকারিকদের মনোবল ভেঙে যাবে। তাছাড়া তদন্ত করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথাও বলে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্যের যুক্তি মানতে চায়নি কমিশন। তার জেরে গত ১৩ অগাস্ট দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় মুখ্যসচিবকে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও মুখ্যসচিবের যুক্তি ছিল তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে। এর জন্য ৭ দিন সময়ও দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। আজ ছিল সেই সময়সীমার শেষ দিন। এদিন শেষ পর্যন্ত তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।