ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ অগাস্ট : গুজরাটের আহমেদাবাদে এক স্কুলে ছাত্র খুনের ঘটনায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে (Gujarat School Tragedy)। মঙ্গলবার, একই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্র ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দশম শ্রেণির ছাত্র নয়নকে। গুরুতর আহত অবস্থায় নয়নকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর বুধবার সকালেই স্কুলে উপস্থিত হন একদল ক্ষুব্ধ অভিভাবক। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরাও। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং উত্তেজিত জনতা স্কুলে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। অভিযুক্ত ছাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের হওয়ায় ঘটনার প্রেক্ষিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নজরে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ওই এলাকায়।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, খুন হওয়া ছাত্র নয়ন সিন্ধি সম্প্রদায়ের সদস্য ছিল। বুধবার সকালে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলে উপস্থিত হন সিন্ধি সম্প্রদায়ের একদল মানুষ। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র কর্মীরাও স্কুলে হাজির হন।
অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা স্কুলে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সেই সময় স্কুলের কিছু সাধারণ কর্মী হামলার শিকার হয়ে আহত হন বলেও জানা গেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে স্কুল চত্বরে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। তবে পুলিশ উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী।
এদিকে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নবম শ্রেণির ছাত্রকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে গুজরাট পুলিশ। নাবালক হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে কিশোর বিচার আইন (Juvenile Justice Act)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।