HAILAKANDI: বন্যাপীড়িত মানুষের দুর্দশা দেখে চাঁছাছোলা ভাষায় সরকারকে আক্রমণ চিবের
HAILAKANDI: হাইলাকান্দি জেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদৰ্শন যুব কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সভাপতির। বন্যা দুর্গতদের দুর্দশা দেখে সরকারের কঠোর সমালোচনা যুব কংগ্ৰেসের কেন্দ্ৰীয় সভাপতি উদয়ভানু চিবের।
যুব কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সভাপতি উদয়ভানু চিব হাইলাকান্দির বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন। জেলার বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে মানুষের দুর্দশা দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন চিব। এদিন সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন যুব কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সভাপতি।
হাইলাকান্দি জেলার বন্যা দুর্গত অঞ্চল পরিদর্শনের পর চিব বলেন, বন্যা দুর্গতদের অবস্থা ভয়াবহ। বন্যা দুর্গতদের ঘরে গিয়ে তিনি স্বচক্ষে দেখেন তাঁদের দুর্দশা। স্কুলে যেতে পারছে না পড়ুয়ারা। কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
বন্যাপীড়িত মানুষের দুর্দশা দেখে চাঁছাছোলা ভাষায় সরকারকে আক্রমণ করেন চিব। তিনি বলেন, কংগ্ৰেস আমলে অসমকে বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তখন বন্যায় হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ পেয়েছিল অসম। কিন্তু আজ কেন্দ্ৰীয় সরকার অসমের বন্যায় কত টাকা দিয়েছে তার কোনও হিসেব নেই।
তিনি বলেন নির্বাচনের সময় নেতারা নানা প্রতিশ্রুতি দেন। সেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ না করলে জনগণের উচিত নেতাদের কাছে জবাব চাওয়া। যে সরকারই হোক, প্রশ্ন করা না হলে তাারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। এজন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
চিবের সফরসঙ্গী ছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি জুবের আনাম। তিনিও সরকারের সমালোচনা করেন। তখন বন্যা হলে বিশেষ তহবিল আসত। অসমের বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসার পরই তুলে দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্তিতির মোকাবিলায় দরকার টাকা। অতিরিক্ত টাকা তো দূরের কথা মূল অর্থ বরাদ্দও কমে গেছে।
এদিন বন্যা দুর্গতদের মধ্যে শুকনো খাবার, পানীয় জল, চিকিৎসা সামগ্ৰী বিতরণ করেন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। হাইলাকান্দি জেলার ৫৫টি গ্রামে ৩৩ হাজার ৮৩৮ জন এখনও বন্যা পীড়িত। ৬টি ত্রাণ শিবিরে এখনও আশ্রিত রয়েছেন ৮৪১ জন